১৮৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া জগাবাবুর পাঠশালাটি নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজকের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। দেড় শ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি ১৮ বছরে প্রবেশ করছে আজ। জানা যায়, ১৮৫৮ সালের ব্রাহ্মস্কুল ১৮৭২ সালে রূপান্তরিত হয় জগন্নাথ স্কুল নামে। এ ছাড়া ১৮৮৪ সালে এসে ঢাকা জগন্নাথ কলেজ নাম হয়। নারী শিক্ষার বাধা দূর করতে ১৯৪২ সালে জগন্নাথ কলেজে সহশিক্ষা চালু হয়। ১৯৪৮ সালে তা বন্ধ হলেও ১৯৬৩ সালে পুনরায় সহশিক্ষা চালু হয়। ১৯৭৫ সালে স্নাতকোত্তর কোর্স এবং সর্বশেষ ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫’ এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। অবশেষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় ২০১৮ সালের শেষের দিকে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনে ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হয়।
আরও জানা যায়, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি অনুষদ, ৩৬টি বিভাগ এবং দুটি ইনস্টিটিউট রয়েছে। ৬৭৮ জন শিক্ষক ও ১৪ হাজার ২৭০ জন শিক্ষার্থী আছেন। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৪৫ জন এমফিল এবং ১৪১ জন পিএইচডি করছেন।
রেজিস্ট্রার অফিস জানায়, ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ণাঢ্য আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করবে বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকাশনা উৎসব, আনন্দ র্যালি, চারুকলা প্রদর্শনী এবং বিভিন্ন ব্যান্ড দলের পরিবেশনা থাকবে।উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দিতে কাজ করছি। গবেষণা খাতে গতবারের চেয়ে বাজেট দ্বিগুণ করেছি। লাইব্রেরি, আইসিটিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাজেট বাড়ানো হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সর্বক্ষেত্রে তারা রাখছে সফলতার ছাপ।