মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিচারপতি মানিকের ওপর হামলা বিএনপির সমাবেশ থেকেই : ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সমাবেশ থেকেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ। গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি মাদারীপুর থেকে একটি চক্র ইমো হ্যাকের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইমো আইডি হ্যাক করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে হ্যাকার চক্রের ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবির ওয়ারী বিভাগ। তারা হলেন- আবদুল মমিন, রবিউল ইসলাম ওরফে রবি, শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ, সাব্বির, চাঁন মোল্লা ও আরিফুল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে ১২টি মোবাইল ফোন, হ্যাকিং কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ১৯টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়। রবিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এদের অধিকাংশের বাড়ি রাজশাহী ও নওগাঁ জেলায়। চক্রটি নওগাঁ-কেন্দ্রিক হলেও তারা ইমো হ্যাকের প্রশিক্ষণ নেয় মাদারীপুরের আরেকটি চক্র থেকে। প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তির ইমো আইডি হ্যাক করে লাখ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। এভাবে তারা গত ২-৩ মাসে ৫০ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাৎ করেছে।

এরপর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হারুন-অর-রশীদ বলেন, বিচারপতি মানিকের ওপর হামলা ও তার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজও আমরা বিশ্লেষণ করছি। আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি, বিচারপতি মানিকের গাড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাটি ফাঁকাই ছিল। বিএনপির সমাবেশ থেকে তার ওপর হামলা করা হয়। তবে এ বিষয়ে আমরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করছি এবং তদন্ত করছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

ইমো হ্যাকারদের বিষয়ে তিনি বলেন, গত ৯ অক্টোবর রাতে নুরুল ইসলামের বড় ভাই কাতার প্রবাসী কাশেমের ইমো আইডি থেকে একটি মেসেজ আসে। যেখানে বলা হয়, ‘আমার টাকার প্রয়োজন, আমি বিকাশ নম্বর পাঠাইলে টাকা দিও।’ পরে গত ১০ অক্টোবর দুপুরে নুরুল ইসলামের ইমোতে আরও একটি মেসেজ আসে যে ‘আজকে বিকাশের রেট কত? ২৫ হাজার টাকা পাঠানো যাবে।’ এরপর আরও কয়েকটি মেসেজ ও ভয়েস মেসেজ আসে। ভিকটিম নুরুল ইসলাম সেই মেসেজের ওপর ভিত্তি করে হ্যাকারদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে তিনবারে ৬৫ হাজার টাকা পাঠায়। পরে নুরুল তার বড় ভাইয়ের ইমো আইডি বন্ধ পেলে তার ভাবির ইমো আইডি থেকে বড় ভাই আবুল কাশেমকে ৬৫ হাজার টাকা পাঠানোর কথা জানায়। উত্তরে তার বড় ভাই কাতার প্রবাসী কাশেম বলেন, তার ইমো আইডি হ্যাক হয়েছে, আইডিটি তার নিয়ন্ত্রণে নেই। পরে ভিকটিম বুঝতে পারে সুকৌশলে তার কাছ থেকে হ্যাকাররা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর