ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সরকারি জমি বন্ধক রেখে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনা অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। এ বিষয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটি পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। এ আদেশের পাশাপাশি ওই দুর্নীতির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিএফআইইউসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ‘মহাসড়ক বন্ধক দেখিয়ে লুটপাট ১৫ কোটি টাকা’ শিরোনামে গত ১৬ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ২১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওবায়েদ আহমেদ বাদী হয়ে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত গতকাল এ আদেশ দেন। রিটকারী আইনজীবী বলেন, ওই দুর্নীতি নিয়ে একটি পত্রিকায় ও একটি বেসরকারি টিভিতে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই ওই ঘটনার তদন্ত চেয়ে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালতে বিএফআইইউ’র পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।