সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
দুই জঙ্গি ছিনতাই

রিমান্ডে ইদি আমিন কনস্টেবল বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ইদি আমিন গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে, এ ঘটনায় আরও দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন কনস্টেবল নূরে আজাদ ও জয়নাল। এর মধ্যে আজাদ জঙ্গি ছিনতাইকারীদের মারধর ও পিপার স্প্রেতে আহত হয়েছিলেন। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ মামলার এজাহারে ইদি আমিনের নাম ছিল। তিনি আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

এর আগে ২৪ নভেম্বর ওই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় গ্রেফতার মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির সাত দিন রিমান্ডের অনুমতি দেন আদালত। ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের পক্ষ থেকে বলা হয়, আসামি অমি জঙ্গি ছিনতাইয়ে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। তিনি আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য। তার বাড়ি সিলেটে। ব্লগার নাজিমউদ্দীন সামাদ হত্যার মিশনেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

গতকাল ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের ডিসি জসিম উদ্দিন বলেন, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় নূরে আজাদসহ দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে আহত পুলিশ সদস্য নূরে আজাদও রয়েছেন। এর আগে, একই ঘটনায় ২১ নভেম্বর পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তারা হলেন সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট পরিদর্শক মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনচার্জ (এসআই) নাহিদুর রহমান ভূঁইয়া, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্বরত পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শরিফ হাসান ও আবদুস সাত্তার। এ নিয়ে ওই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হলো। ঘটনার দিন আজাদের সঙ্গে আরও পুলিশ সদস্য ডিউটিতে ছিলেন। কিন্তু তিনি একাই চার জঙ্গিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ডিউটিতে চারজন থাকার সত্ত্বে¡ও তিনি কেন একাই চার জঙ্গিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তা তদন্তের বিষয়। ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।

প্রসঙ্গত, ২০ নভেম্বর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে আসা চার জঙ্গি পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে করে লেখক অভিজিৎ রায় ও জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। তারা হলেন সুনামগঞ্জের মইনুল হাসান শামীম এবং লালমনিরহাটের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তারা জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য। এরপর তাদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিলে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর