মেহেরপুরের গাংনী পৌরশহরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ছাড়া অবিস্ফোরিত তিনটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের দায়ী করে তাদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। তবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক জানান, গাংনী উত্তরপাড়ায় অবস্থিত সরকারি পরিত্যক্ত একটি হ্যাচারির পাশে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। এ সময় একটি ব্যাগ থেকে তিনটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। ককটেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া গেলেও ঘটনাস্থলে বিস্ফোরণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গাংনী পৌর যুবদলের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর সাইদুল ইসলামকে (৪০) আটক করা হয়েছে। গাংনী ছাত্রলীগ এ ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের দায়ী করে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সাবেক ছাত্রনেতা সাহিদুজ্জামান সিপু বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাতে গাংনী শহরে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা প্রতিরোধ করলে তাদের লক্ষ্য করে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। ককটেল দুটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। হামলাকারী বিএনপি নেতা-কর্মীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
এদিকে ছাত্রলীগের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, বিএনপি নেতা এডাম ও জামাল বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কয়েকজন তাদের ধাওয়া করে। তারা পালিয়ে যায়। অথচ উল্টো বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।বিস্ফোরণের স্থান পরিদর্শন করেছেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক ও র?্যাব-১২ গাংনী ক্যাম্পের একটি টিম।
এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক জানান, অবিস্ফোরিত তিনটি বোমা প্রাথমিকভাবে নিষ্ক্রিয় করে থানায় নেওয়া হয়েছে। ককটেল রাখা ও বিস্ফোরণের সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।