বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় চায়না জাতের মিষ্টি কমলা চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষিত উদ্যোক্তা আবু সুফিয়ান মো. পারভেজ। বাগান করার দ্বিতীয় বছরেই এসেছে সাফল্য। মিষ্টি জাতের এই কমলা চাষে ভাগ্য ফেরানোর স্বপ্ন দেখছেন তিনি। প্রতিদিন তার এই বাগান দেখতে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষ। কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অনেকে। বরিশালে মিষ্টি জাতের কমলা চাষে পারভেজ পথপ্রদর্শক বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। হিসাববিজ্ঞানে ¯œাতকোত্তর পারভেজ একটি বেসরকারি কোম্পানির হিসাবরক্ষকের চাকরি করতেন। করোনাকালে ২০২০ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজের এবং অন্যের ৫০ শতাংশ জমিতে চায়না জাতের ১৩২টি কমলা গাছ রোপণ করেন। এক বছর পরই গাছে ফুল ধরে। তবে প্রথম বছর ফুল কেটে ফেলেন তিনি। দ্বিতীয় বছর এবার প্রায় সব গাছেই প্রচুর কমলা ধরে। বর্তমানে তার বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে হলুদ রঙের কমলা। পারভেজ জানান, নিজে কিছু করার চিন্তাভাবনা থেকেই বেসরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে কমলা চাষ শুরু করি। ইতোমধ্যেই দেড়শ টাকা কেজি দরে ৫ মণ কমলা বিক্রি করেছি। আরও প্রায় ৫ মণ কমলা বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিদিন পারভেজের কমলা বাগান দেখতে আসছেন দূর-দূরান্তের অনেকে। নিজের গাছের কমলা আপ্যায়নও করছেন তাদের। পারভেজের বাগান দেখে অনেকেই চায়না জাতের কমলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিবেশী কবির হাওলাদার জানান, পারভেজের চায়না কমলা বাগান দেখে খুব ভালো লেগেছে। বরিশালে এরকম কমলা চাষ হয় আগে দেখিনি। এরকম বাগান করার আগ্রহ রয়েছে তারও।
লাইলী আক্তার জানান, সরাসরি পারভেজের বাগান থেকে রাসায়নিকবিহীন কমলা কিনেছেন। তার মতো অনেকেই এই কমলা কিনছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোসা. মরিয়ম জানান, বরিশালে মিষ্টি জাতের কমলা চাষ হয়- এমন ধারণাই ছিল না কৃষি বিভাগের। মিষ্টি জাতের কমলা চাষে পারভেজ বরিশালের পথপ্রদর্শক। পারভেজের কমলা বাগানের সার্বিক তদারকি করার কথা ভাবছি। কমলা বাগান ছাড়াও ড্রাগন ফলের বাগান রয়েছে পারভেজের। ভবিষ্যতে একটি সমন্বিত কৃষি খামারের পরিকল্পনা রয়েছে তার।