মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ পিছিয়ে ১৫ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোটার তালিকার হালনাগাদের খসড়া প্রকাশের সময় পেছানো হয়েছে। প্রতি বছর ২ জানুয়ারি ওই খসড়া প্রকাশ হলেও এবার তা হচ্ছে না। আগামী ১৫ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। অবশ্য আইন অনুযায়ী চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ২ মার্চই প্রকাশিত হবে। রবিবার নির্বাচন কমিশন থেকে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে দেওয়া এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। ওই চিঠিতে ১৫ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিধান রয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, কম্পিউটার ডাটাবেজ সংরক্ষিত বিদ্যমান সকল ভোটার তালিকা, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি হইতে ২ মার্চ পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিম্নরূপে হালনাগাদ করা হবে। ভোটার তালিকা বিধিমালায়ও একই বিধান রয়েছে। ওই বিধান অনুযায়ী প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। খসড়া তালিকায় আসা আপত্তি নিষ্পত্তি করে ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।  এবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ পিছিয়ে গেলেও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সময় অপরিবর্তিত থাকবে।

অবশ্য এ সময়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা হলেও এর বৈধতা বা ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হবে না বলে ভোটার তালিকা আইনে বলা হয়েছে। ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশের সময় পেছানো হলেও আইনের কোনো ব্যত্যয় হচ্ছে না। তবে বিগত সময়কার রেওয়াজ ভঙ্গ হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠি রবিবার দেশের সব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসাররা ১৫ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবেন এবং তা বিধি মোতাবেক প্রকাশ করা হয়েছে মর্মে প্রত্যয়ন প্রদান করতে হবে।

সূত্র জানায়, এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি নাগরিকের তথ্য পাওয়া গেছে। ওই তথ্য আপলোড দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবলের ঘাটতি ছিল। এ ছাড়া নানা কারণে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম ও তথ্য আপলোড ব্যাহত হয়। এ ছাড়া আগামী ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ভোটের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কারণে খসড়া তালিকা প্রকাশ পিছিয়ে গেছে। তারা আরও জানান, সারা দেশে ১ কোটির বেশি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ধারণা ছিল, বিদ্যমান ভোটারের ৭.৫ শতাংশ হারে ৮৬ লাখ নতুন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর