জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনীতির মাঠে নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিতে চায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত মতাদর্শী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। তাই স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ পাঁচ দফা দাবিতে এবার মাঠে নামছে দলটি। দাবি আদায়ের জন্য ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ নামে মহাসমাবেশের ডাকও দিয়েছে। ৭ জানুয়ারি ঢাকার গুলিস্তান চত্বরে এ মহাসমাবেশ হবে। ওই মহাসমাবেশে লাখো লোক জমায়েতের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের যুগ্ম-মহাসচিব আবদুর রহিম বলেন, ‘ইসলামী ফ্রন্ট ঘোষিত পাঁচ দফা আদায়ের জন্য মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই সমাবেশে ৫ লাখ লোক জমায়েতের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতি জেলা ও উপজেলায় মহাসমাবেশে যোগদানের প্রস্তুতি চলছে। এটিই হবে সুন্নি মতাদর্শীদের অন্যতম বৃহৎ জমায়েত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শীর্ষ নেতা বলেন, আর কয়েক মাস পরই নির্বাচনী হিসাবনিকাশ শুরু হবে। তাই রাজনীতির মাঠে নিজেদের অবস্থান জানান দিতেই এ মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। নিজেদের সামর্থ্যরে সবটুকু উজাড় করে সর্বোচ্চ জমায়েতের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মহাসমাবেশে লোকসমাগম করেই রাজনীতির মাঠে নিজেদের শক্তি আবার প্রমাণ করবে ইসলামী ফ্রন্ট। জানা যায়, পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে আহলে সুন্ত মতাদর্শীদের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন ইসলামী ফ্রন্ট। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কার্যকর স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা, জাতীয় শিক্ষাক্রমে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি থেকে সরে আসা, সুন্নি জনতার অধিকার আদায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়া।
ওই মহাসমাবেশে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বাংলাদেশ, ইসলামী ফ্রন্ট এবং ওলামা-মাশায়েখরা উপস্থিত থাকবেন। যুগ্ম-মহাসচিব আবদুর রহিম আরও বলেন, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, চাঁদপুর, বরিশাল, রাঙামাটি, কক্সবাজারে ইসলামী ফ্রন্টের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। এ জেলাগুলোর একেকটি থেকে ১০ থেকে ২০ হাজার কর্মী জমায়েত হবে সমাবেশে। এ ছাড়া বান্দরবান, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নীলফামারী, সৈয়দপুর, রংপুর এবং দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ থেকেও হাজার হাজার কর্মী জমায়েত হবে মহাসমাবেশে।