রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নে কাদিপুর ঈদগাহ মাঠে মাটি ভরাট না করেই টাকা তুলে নেন চেয়ারম্যান সোহেল রানা। ওই ইউনিয়নের দুই সদস্য এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর তারা (দুই ইউপি সদস্য) ঘটনাস্থলে গেলে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ইউপি সদস্যদের মারপিট করেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ২২ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। ওইদিন গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন ইউপি সদস্য মো. নুরুজ্জামান। ওই মামলাটির তদন্ত করে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ ৩১ জুলাই আদালতে চেয়ারম্যান সোহেল রানাসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলাটির তদন্ত করেন উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন।
একই ঘটনায় তারিখ ও সময় ঠিক রেখে ইউপি সদস্য নুরুজ্জমানের মামলার বাদী ও সাক্ষীদের আসামি করে ২৬ জুলাই আদালতে মামলা করেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য উকিল মিয়া। মামলাটির তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরিদর্শক আবদুল মান্নান তদন্ত করে আগের মামলার বাদী ও সাক্ষীদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেন ৩ নভেম্বর।
গোদাগাড়ী থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, মামলাটির তদন্ত করে চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। একই ঘটনায় পিবিআইয়ের তদন্তের বিষয়ে তার কোনো মন্তব্য নেই। পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবদুল মান্নান জানান, আগের ঘটনা সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় ঘটনার তারিখ বা সময়ের পার্থক্য আছে।’ ইউপি সদস্য মো. নুরুজ্জামান জানান, মামলায় দুজন ইউপি সদস্যের নাম থাকলেও পিবিআই তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি। হয়রানি করতে ঘটনার চার দিন পর চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় উকিল মিয়া আদালতে মামলা করেছেন।তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান কাজ না করেই ঈদগাহে মাটি ভরাট কাজের টাকা আত্মসাৎ করেন। এ নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছিলেন। সেই ক্ষোভে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন তাদের মারধর করে। মাটি ভরাট কাজের টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি এখনো জেলা প্রশাসন তদন্ত করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা জানান, উকিল মিয়াকে মারধরের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছিল। ওই উকিল মিয়ার পক্ষে প্রত্যয়ন দিয়েছেন।