বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির তীক্ষè দৃষ্টিসম্পন্ন আটটি শকুন এখন দিনাজপুরের বীরগঞ্জের পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রকৃতিতে অবমুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। উত্তারাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় হিমালিয়ানসহ বিভিন্ন বিরল প্রজাতির উদ্ধার করা আটটি শকুন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানের পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আনা হয়েছে। এখানে পুরোপুরি সুস্থ হলে শকুনগুলোকে মার্চ-এপ্রিলের দিকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে জানালেন উদ্যানের বনবিট কর্মকর্তা হরিপদ দেবনাথ। তিনি জানান, প্রতিটি শকুনকে খাদ্য হিসেবে দুই দিন পর পর দেওয়া হয় আধা কেজি ওজনের বয়লা মুরগির মাংস।
বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানের বনবিট কর্মকর্তা হরিপদ দেবনাথ জানান, হিমালয় এবং ভুটানে শীতের প্রকোপ বাড়লে দল বেঁধে শকুনগুলো আসে এবং বড় বড় গাছে আশ্রয় নেয়। বিলুপ্তপ্রায় এ শকুনগুলো শীতের সময় অন্য এলাকা থেকে খাদ্যাভাবে ক্লান্ত অবস্থায় আসে। যেগুলো ঠিকমতো উড়াল দিতে না পারে সেগুলোকে উদ্ধার করে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আনা হয়। একসময় পুরোপুরি সুস্থ হলে সেটিকে প্রকৃতিতে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রতি বছরের মার্চ-এপ্রিলের দিকে এসব শকুনকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করে দেওয়া হয়। বর্তমানে এখানে এ ধরনের আটটি শকুন রয়েছে। ছয় বছর ধরে দেশে বিলুপ্ত ও বিপন্ন প্রায় শকুনকে বাঁচাতে আইইউসিএন বাংলাদেশ ও বন বিভাগ যৌথভাবে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।