সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

চলছে প্রস্তুতির শেষ আঁচড়

বিশ্ব ইজতেমা

আফজাল হোসেন, টঙ্গী

৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার শেষ প্রস্তুতি চলছে। রাজধানীর কাছে কহর দরিয়াখ্যাত টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আগামী ১৩ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমা। এ লক্ষ্যে প্রস্তুত হচ্ছে ১৬০ একর বিস্তৃত ইজতেমা ময়দান। ময়দানের কিছু কাজ বাকি থাকলেও তা আজকালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। শুক্রবার বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব শেষ হবে। এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব ২০ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। চিল্লাধারী মুসল্লিরা ময়দানের আশপাশ এলাকায় অবস্থান নিয়ে দাওয়াতি মেহনতে রয়েছেন। ইজতেমা শুরুর আগেভাগেই তারা ময়দানে প্রবেশ করবেন। প্রথম পর্বের তিন দিন মাওলানা যোবায়ের সমর্থিতদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দ্বিতীয় পর্বে দিল্লির মাওলানা সা’দ অনুসারীদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের পর আগামী ১৭ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানের জন্য মাঠ বুঝিয়ে দেওয়া হবে সা’দ অনুসারীদের কাছে।

এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। র‌্যাব, পুলিশ, কিউআরটি, আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ময়দানের চারপাশে নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ময়দানের কাজে সহযোগিতা করছেন। বিশেষ করে এবার বিদেশি মেহমানদের জন্য নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। তিনি আরও বলেন, ইজতেমা আয়োজক কমিটির দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি তাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি হবে না। সফলভাবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন হবে।

ময়দানে প্রথম পর্বে খিত্তাভিত্তিক মুসল্লিদের অবস্থান : এ বছর প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা যেসব খিত্তায় অবস্থান করবেন তা হলো- গাজীপুর (খিত্তা-১), টঙ্গী (খিত্তা-২, ৩ ও ৪), ঢাকা (খিত্তা-৫-১৮ ও ২১, ২২, ২৫, ২৭, ২৮, ৩০),  রাজশাহী (খিত্তা-১৯), চাঁপাইনবাবগঞ্জ (খিত্তা-২০), নাটোর (খিত্তা-২৩), নওগাঁ (খিত্তা-২৪), নড়াইল (খিত্তা-২৬), সিরাজগঞ্জ (খিত্তা-২৯), টাঙ্গাইল (খিত্তা-৩১), রংপুর (খিত্তা-৩২), গাইবান্ধা (খিত্তা-৩৩), লালমনিরহাট (খিত্তা-৩৪), মুন্সীগঞ্জ (খিত্তা-৩৫), যশোর (খিত্তা-৩৬), নীলফামারী (খিত্তা-৩৭), বগুড়া (খিত্তা-৩৮), জয়পুরহাট (খিত্তা-৩৯), নারায়ণগঞ্জ (খিত্তা-৪০), ফরিদপুর (খিত্তা-৪১), ভোলা (খিত্তা-৪২), নরসিংদী (খিত্তা-৪৩), সাতক্ষীরা (খিত্তা-৪৪), বাগেরহাট (খিত্তা-৪৫), কুষ্টিয়া (খিত্তা-৪৬), মেহেরপুর (খিত্তা-৪৭), চুয়াডাঙ্গা (খিত্তা-৪৮), ময়মনসিংহ (খিত্তা-৪৯, ৫১), শেরপুর (খিত্তা-৫০), জামালপুর (খিত্তা-৫২), গোপালগঞ্জ (খিত্তা-৫৩), কিশোরগঞ্জ (খিত্তা-৫৪), নেত্রকোনা (খিত্তা-৫৫), ঝালকাঠি (খিত্তা-৫৬), বান্দরবন (খিত্তা-৫৭), বরিশাল (খিত্তা-৫৮), পিরোজপুর (খিত্তা-৫৯), হবিগঞ্জ (খিত্তা-৬০), কক্সবাজার (খিত্তা-৬১), সিলেট (খিত্তা-৬২), সুনামগঞ্জ (খিত্তা-৬৩), ফেনী (খিত্তা-৬৪), নোয়াখালী (খিত্তা-৬৫), লক্ষ্মীপুর (খিত্তা-৬৬), চাঁদপুর (খিত্তা-৬৭), ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (খিত্তা-৬৮), খুলনা (খিত্তা-৬৯), পটুয়াখালী (খিত্তা-৭০), বরগুনা (খিত্তা-৭১), চট্টগ্রাম (খিত্তা-৭৪), কুমিল্লা (খিত্তা-৭৫), তুরাগ নদের পশ্চিমপাড় কাঁচাবাজারে মৌলভীবাজার (খিত্তা-৭৬), রাজবাড়ী (খিত্তা-৭৭), মাদারীপুর (খিত্তা-৭৮), শরীয়তপুর (খিত্তা-৭৯), মানিকগঞ্জ (খিত্তা-৮০, সাফা টাওয়ার), রাঙ্গামাটি (খিত্তা-৮১), খাগড়াছড়ি (খিত্তা-৮২), দিনাজপুর (খিত্তা-৮৩), পাবনা (খিত্তা-৮৪), ঠাকুরগাঁও (খিত্তা-৮৫), ঝিনাইদাহ (খিত্তা-৮৭, যমুনা প্লট),  মাগুরা (খিত্তা-৮৮, যমুনা প্লট), কুড়িগ্রাম (খিত্তা-৮৯, কামারপাড়া বেড়িবাঁধ বঙ্গবন্ধু মাঠ), পঞ্চগড়ের (খিত্তা-৯০, কামারপাড়া হাইস্কুল মাঠ, বধির স্কুল ভবন) জন্য নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নিয়ে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। এ ছাড়া ময়দানের চারপাশে ১১ ও ১২ নম্বর খিত্তার কিয়দংশ, ৩২ ও ৩৭ নম্বর খিত্তার মাঝামাঝি ১২ নম্বর, ৭২, ৭৩, ৮৬ ও ৯১ নম্বর খিত্তাগুলো সংরক্ষিত রাখা হয়েছে বলে জানান বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বি ডা. কাজী শাহাবুদ্দিন।   

সর্বশেষ খবর