শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

শেষ হলো নড়াইলের সুলতান মেলা

নড়াইল প্রতিনিধি

‘সুলতান স্বর্ণপদক’ প্রদানের মধ্য দিয়ে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৮তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নড়াইলে ১৪ দিনব্যাপী আয়োজিত সুলতান মেলা গতকাল শেষ হয়েছে। এবার সুলতান স্বর্ণপদক-২০২২ পেয়েছেন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী শহিদ কবীর তালুকদার। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তাঁর হাতে এ পদক তুলে দেন। এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।

প্রতিমন্ত্রী তাঁর ভার্চুয়ালি বক্তব্যে বলেন, ‘অসংখ্য দুর্লভ চিত্রকর্মের অমর কারিগর বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান ছিলেন খাঁটি বাঙালি শিল্পী। তাঁর চিন্তা-চেতনায় সর্বদা ছিল দেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িকতা ও বাঙালি ঐতিহ্য। শিল্পী সুলতানের মতো আমাদেরও নিজস্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য লালন করতে হবে। আমরা তা ধরে রাখতে পারলে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।’ সমাপন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক মাহবুবা করীম, সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্যসচিব আশিকুর রহমান মিকু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দোলন মিয়া, নাট্যব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু প্রমুখ। সমাপন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি সুলতান মঞ্চ চত্বরে বেলুন উড়িয়ে ১৪ দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেছিলেন খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুুর রশিদ। জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও সহযোগিতায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল সাত দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনী, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, লাঠিখেলা, কাবাডি, কুস্তি, ভলিবল, আরচারি, ষাঁড়ের লড়াই, ঘোড়ার গাড়ি দৌড় প্রতিযোগিতা, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া শিল্পীর জীবনদর্শন, শিল্পীসত্তা ও কর্মময় জীবনের ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মেলা কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে লোকঐতিহ্য দোলনা, খেলনা ট্রেন-নৌকা, কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, কাপড়, চুড়ি-ফিতা, বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি, দেশি খাবারসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে শতাধিক স্টল মেলাপ্রাঙ্গণে বসে। এবার স্থানীয় ৫০টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, সংগীতানুষ্ঠান ও নাটকের পাশাপাশি কুষ্টিয়ার লালন একাডেমিসহ ঢাকা ও খুলনার শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। প্রতিদিন হাজার হাজার শিশু, নারী-পুরুষ মেলা উপভোগ করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর