বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও বাগেরহাট-১ সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াত আলটিমেটাম দিয়েছিল। ১১ তারিখ নাকি তারেক জিয়া দেশে চলে আসবে। কই সে কই। তিনি বলেন, আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি যুবলীগ ছাত্রলীগ করি সবাই একই পরিবারের সদস্য। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি পদ্মার এপারে বরিশাল ও খুলনা বিভাগে বিএনপি-জামায়াতকে রাজপথে নামতে দেব না সেটাই আমাদের ওয়াদা। গতকাল তিনি খুলনা মহানগর ও জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। নগরীর শিববাড়ি মোড়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবলীগ সভাপতি কামরুজ্জামান জামাল। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে  সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি আরও বলেন, আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শকে বুকে লালন করি।

আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে বিশ্বাস করি। ১০ তারিখে ফুটবলে কিক দিয়ে আর্জেন্টিনার মতো ওদের পরাজিত করেছি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ওরা আর কোনো দিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ২০২৪ সালের নির্বাচনেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকায় ভোট দিয়ে এদেশের মানুষ আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে।

এদিকে খুলনায় দীর্ঘদিন পর সম্মেলনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের যুবসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। সম্মেলন ঘিরে সকাল থেকে গোটা শহর মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। বিভিন্ন ওয়ার্ড ও উপজেলাগুলো থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সম্মেলন স্থলে জড়ো হন। ঢাকঢোক বাজিয়ে বর্ণাঢ্য সাজে উৎসবে মাতেন নেতা-কর্মীরা। শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন অনেকে। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল। বক্তৃতা রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম এ মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও খুলনা-২ সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সোহেল, জালাল উদ্দীন রুবেল, বাগেরহাট-২ সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন।