রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। গতকাল দুপুরে রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে দুদকের ৪ কর্মকর্তাসহ ৭ জন সদস্য অভিযানে অংশ নেন। এ সময় তারা বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য পান। দুদকের টিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে। এতে সংকটাপন্ন রোগীদের ট্রলিতে ওয়ার্ডে নিতে বখশিশ দাবি ও জরুরি বিভাগে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পায়। এর বাইরে বিভিন্ন কৌশলে সরকারি এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সত্যতা পায় দুদক। এরপর তারা হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আ. ম আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরেন। হাসপাতালের উপ-পরিচালক সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বেলাল হোসেন বলেন, ঢাকা অফিস থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রমেক হাসপাতালের অনিয়ম- দুর্নীতির একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেটি তদন্তে আমরা এসেছিলাম। এখানে সেবা নিতে কর্মচারীদের বখশিশ দিতে হয় এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ওয়ার্ডে রোগীরা ঠিকমতো সেবা পাচ্ছে না এমন অভিযোগও তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। রমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আ. ম আখতারুজ্জামান বলেন, ‘দুদকের কর্মকর্তারা হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরেছেন। আমি ও পরিচালক এ হাসপাতালে নতুন এসেছি। আমরা বসে সেই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব।’