শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

জালিয়াতির অভিযোগে ৩ কোটি টাকার রপ্তানি পণ্য আটক

চট্টগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

টি-শার্ট ও লেডিস ড্রেস রপ্তানির ঘোষণা দিয়ে বেবি ড্রেস, জিন্স প্যান্ট, শার্ট, লেগিন্স, শালসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির অভিযোগে ৭ কনটেইনার পণ্য আটক করেছে কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এসব পণ্যের ওজন ১১৮ টন, যার মূল্য ৩ কোটি টাকার বেশি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। চালানগুলো মালয়েশিয়া, সুদান, ইউএই, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো যাওয়ার কথা ছিল। গত ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গার একটি কনটেইনার ডিপো থেকে এসব পণ্য আটক করা হয়। গতকাল এ বিষয়টি জানিয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা অধিদফতর। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের উপপরিচালক মো. শাকিল খন্দকার গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এসব রপ্তানি চালানের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। এ ধরনের আরও কিছু রপ্তানিকারকের বিষয়ে গোপন তথ্য পাওয়া গেছে। অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. সাইফুর রহমানকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কাস্টমস গোয়েন্দারা জানান, গত ৩১ জানুয়ারি উত্তর পতেঙ্গার এসএপিএল (ওসিএল) কনটেইনার ডিপোতে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের একটি টিম। ওই অভিযানে ঢাকার মোল্লারটেকের সাবিহা সাইকি ফ্যাশন নামের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ১৫টি বিল অব এক্সপোর্ট সংক্রান্ত দলিল পর্যালোচনায় জালিয়াতির সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর চালানগুলোর রপ্তানি কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হয়। এসব দলিল যাচাই করার জন্য অগ্রণী ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়। এর জবাবে ব্যাংকটির প্রধান শাখা থেকে জানানো হয় সাবিহা সাইকি ফ্যাশন তাদের গ্রাহক নয় এবং বিল অব এক্সপোর্ট সংশ্লিষ্ট ইএক্সপিগুলো ওই ব্যাংকের অন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু করা। এরপর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন ভুয়া ইএক্সপি এবং এলসি কিংবা সেলস কন্ট্রাক্ট ব্যবহার করে এসব পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছিল। জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানির কারণে এই চালানগুলোর বিপরীতে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা বৈধ পন্থায় দেশে প্রত্যাবাসনের সুযোগ না থাকায় এক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং হয়েছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক শুল্ক গোয়েন্দাকে জানান, তিনি এর সঙ্গে জড়িত নন। পরে তিনি ৩১ জানুয়ারি এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডি করেন। এরপর চালানগুলোর কায়িক পরীক্ষার জন্য সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লাইম্যাক্স শিপার্স লিমিটেডকে চিঠি দিলেও ওই প্রতিষ্ঠানটি সহযোগিতা করেনি। প্রতিষ্ঠানটির ১৫টি চালানের মধ্যে ৯টি ডিপোতে পাওয়া যায়। বাকিগুলো বিদেশে চলে গেছে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে একই রপ্তানিকারকের ৯৪টি চালানের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে ৮৫টি বিদেশে চলে গেছে। যার পরিমাণ ৮৮২ মেট্রিক টন, ঘোষিত মূল্য ২২ কোটি টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর