সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজধানীতে ভয়ংকর প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুরে বিকাশে প্রতারণার অভিযোগে পাঁচ প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- খোরশেদ আলম, মো. ফয়সাল হাসান ফাহিম, আনোয়ার পারভেজ ভূঁইয়া, মো. মমিনুল ইসলাম ও মো. নজরুল ইসলাম। গতকাল সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসব তথ্য জানান ডিএমপির মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। তিনি জানান, খোরশেদ আলম একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির এজেন্ট। বাকিরা বিকাশের এজেন্ট এবং দোকানদার। এই প্রতারক চক্রের মূল হোতা খোরশেদ আলম। তিনি একটি মোবাইল কোম্পানির মার্কেট অপারেশন ডিস্ট্রিবিউটরের এজেন্ট। তিনি মূলত ওই কোম্পানির সিম নিবন্ধক। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সিম বিক্রি করেন। এজেন্ট হওয়ার সুবাদে তিনি বিভিন্ন বস্তি এলাকায় গিয়ে কৌশলে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত এসব ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সিম ইস্যু করেন। এসব সিম তিনি বিক্রি করেন বিকাশ এজেন্ট আনোয়ার ও ফয়সালের কাছে। সাধারণত একটি সিম ৬০ টাকা হলেও এসব সিম খোরশেদ বিক্রি করেন ২০০ টাকা করে। ২০০ টাকায় কেনা এসব সিম আবার ৩০০ টাকা করে আনোয়ার ও ফয়সালের কাছ থেকে কিনে নেন বিকাশ দোকানদার মোমিনুল। এসব সিম থেকেই বিকাশ এজেন্ট, কর্মকর্তা সেজে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। ওসি আরও জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি মাহতাফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি তার বিকাশ নম্বরে ১২ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করেন।

বাসায় ফেরার পর তাকে ফোন করে জানানো হয় ক্যাশ ইন করার সময় ভুল নম্বরে টাকা চলে যাওয়ায় একটি নম্বর লক করে দেওয়া হয়েছে। সেই লক খোলার জন্য ওটিপি মাহতাফের নম্বরে পাঠানো হয়েছে। মাহতাফ সেই নম্বর বলার পর দেখেন তার বিকাশ থেকে ৪৭ হাজার ৯৪০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর ওই নম্বরে ফোন করলে সেই ফোন বন্ধ পান।

পরে মিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ করলে গতকাল ভোরে খোরশেদ আলমকে ডেমরা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৫৪টি সিম উদ্ধার করা হয়। গতকাল তাদের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তিনজনের তিন দিন করে এবং দুজনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সর্বশেষ খবর