সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ টাকার প্রস্তাব ইআরএফের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব দিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)। এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সীমিত আয়ের জনগণকে কিছুটা স্বস্তি দিতে এনবিআরের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দিয়েছে ইআরএফ।  গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মুহাম্মদ রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। চলতি অর্থবছরের বাজেটে একজনের মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকা হলেও তিনি করের আওতায় রয়েছেন। একজন ব্যক্তির মাসিক আয় ৪১ হাজার ৬৬৬ টাকা বা তার বেশি হলেই তাকে করের আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছে ইআরএফ।

ইআরএফ বলছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ করতে আগামী বাজেটে কর-জিডিপির অনুপাত ০.৫% বাড়াতে হবে, পরের দুই বছরেও ০.৫% ও ০.৭% হারে বাড়াতে হবে। এই বাড়তি রাজস্ব আহরণে করের হার না বাড়িয়ে করের আওতা বাড়ানো, অটোমেশনের মাধ্যমে কর কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে। আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে খসড়া কাস্টমস অ্যাক্ট ও খসড়া আয়কর আইন আগামী জুনের মধ্যে বিল আকারে পাস করে আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর করার পরিকল্পনা করছে সরকার। তাড়াহুড়া করে আইন দুটি প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতে গিয়ে যেন সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি করের চাপ দেওয়া না হয় এবং দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ইআরএফ। এ ছাড়াও আগাম কর রিফান্ড ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করা, হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত রাজস্ব প্রশাসন গড়ে তুলতে শতভাগ ডিজিটাল রাজস্ব ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার ওপর জোর দিতে হবে। করদাতা ও কর কর্মকর্তার সরাসরি সাক্ষাৎ যতটা সম্ভব দূর করার প্রস্তাব দিয়েছে ইআরএফ। এনবিআরকে দেওয়া প্রস্তাবে ইআরএফ বলেছে, পর্যটন ভিসায় আসা বিদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে কাজ করা বন্ধ ও তাদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। এ জন্য ইমিগ্রেশনের সঙ্গে এনবিআর যৌথভাবে কাজ করতে পারে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মুহাম্মদ রহমাতুল মুনিম বলেন, মাথাপিছু আয় বাড়ানো ও মানুষের অবস্থার উন্নয়নের জন্যই বাজেট। নিম্নবিত্ত শ্রেণিকে মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে নিয়ে যাওয়াই বাজেটের উদ্দেশ্য।

সর্বশেষ খবর