রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

উত্তপ্ত হচ্ছে রাজশাহীর রাজনীতি

আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিষয়

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেই অভিযোগ করেছেন রাজশাহীর নেতারা। দলের জেলা কার্যালয় নিয়ে প্রকাশ্যে বিভক্ত আওয়ামী লীগ। এখন নগর যুবলীগের কমিটি করতে নেওয়া হয়েছে নেতাদের জীবনবৃত্তান্ত। এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের অশ্লীল ভিডিও। এসবের নেপথ্যে ইন্ধন আছে প্রভাবশালী এক নেতার- এমন দাবি তৃণমূল নেতাদের। আর এ নিয়ে প্রকাশ্যে বিভক্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ। আর তাতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজশাহীর রাজনীতি। জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালকে। তিনি বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু তার বিরোধিতায় মাঠে সক্রিয় ছিলেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় একাধিক নেতা। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে এ নিয়ে অভিযোগও করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ। নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘নেত্রীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, কারা বিরোধিতা করেছেন।’ এরপর থেকেই মূলত তপ্ত হতে শুরু করে রাজশাহী জেলা ও মহানগরের রাজনীতি। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় নিয়ে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়িয়েছেন দুইপক্ষ। একপক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনীল সরকার ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারাসহ রাজশাহীর তিন এমপি। অন্যপক্ষে রাজশাহী-৪ আসনের এমপি এনামুল হক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। নেপথ্যে কেন্দ্রের শীর্ষস্থানীয় এক নেতার ইন্ধন আছে। এনামুলের পক্ষে এমন দাবি করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সামাদ। তবে কার্যালয় নিয়ে কোনো বিভেদ বা দূরত্বের কথা অস্বীকার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা। নগর যুবলীগের কমিটি নিয়ে চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাদা ছোড়াছুড়ি। সভাপতি পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল মোমিন ও নগর যুবলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি। এরপর থেকেই তাদের সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরকে আক্রমণ করে দিচ্ছেন নানা উসকানিমূলক পোস্ট। সবশেষ ভাইরাল হয়েছে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের একটি ভিডিও। আর তাতেই আরও বেশি তপ্ত হয় রাজনীতির মাঠ। এ ভিডিওর পেছনে দলটির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতার ইন্ধন আছে এবং তা পরিকল্পিত বলে দাবি ডাবলু সরকারের। তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘নেতৃত্বের প্রতিযোগিতার কারণে নানা রকম উত্তেজনা, বিভক্তি থাকে।

তবে রাজশাহীর অবস্থা যেদিকে যাচ্ছে, সেটি খুবই খারাপ। আমরা শিগগিরই সেখানে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে বিষয়গুলো সমাধানের উদ্যোগ নেব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর