শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

হেফাজতের মামলা তুলে নেওয়া আর কর্মসূচির জন্য চলছে অস্থিরতা

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

আলোচিত-সমালোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ভিতরে-বাইরে চলছে অস্থিরতা। বিগত সময়ে দায়ের হওয়া মামলা তুলে নেওয়া, সব নেতা-কর্মীকে কারামুক্ত করে আনা আর ‘আগের মতো’ আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে বর্তমান নেতৃত্বের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়- মনে করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একটি অংশ। তবে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের কিছু অংশের মনে ক্ষোভ আছে এটা সত্য। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসবে। তখন হয়তো আর কোনো ক্ষোভ থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আগের মতো হাজার হাজার মানুষ নিয়ে কর্মসূচি পালন করছি না। তবে প্রতিনিয়ত আমরা নানান ইস্যুতে মাঠে সক্রিয় রয়েছি।’ হেফাজতে ইসলামের ইস্যু দেখভাল করেন এমন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের নেতারা বৈঠককালে মামলা প্রত্যাহার ও নেতাদের জামিন দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে সিংহভাগ নেতা জামিনে মুক্ত হয়েছেন। তদন্তাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পুলিশ কাজও শুরু করেছে।

জানা যায়, হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সরকারের ‘পলিটিক্যাল ডিল অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না করার আশ্বাস দেওয়া হয় হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে। একই সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয় ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় দায়ের হওয়া ২০৩টি মামলার সুরাহা করার। একই সঙ্গে কারাগারে বন্দি নেতাদের জামিন দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে মামুনুল হকসহ কয়েক জনের জামিনের বিষয়ে আপত্তি রয়েছে সরকারের। গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা নেতাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জামিনে মুক্তও হয়েছেন। দায়ের হওয়া মামলাসমূহ প্রত্যাহারের বিষয়েও এখনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসেনি।

হেফাজতে ইসলামের এক নেতা বলেন, বিগত সময়ে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার করতে না পারায় এবং কারাগারে থাকা নেতাদের জামিন করাতে না পারায় সরকার ঘনিষ্ঠ হেফাজতে ইসলামের নেতারা চাপে রয়েছেন। এ নিয়ে সিনিয়র কয়েকজন নেতার মধ্যে বিতন্ডাও হয়েছে। এটাকে পুঁজি করে হেফাজতে ইসলামের ভিতর সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত এমন কয়েকজন নেতা এ বিষয়টিকে উসকে দিচ্ছেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর