নওগাঁর আত্রাইয়ের ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর তীরে মরিচ চাষে অভাবনীয় সাফল্য দেখা দিয়েছে। নদীর দুই পাড়ের পলি ও বেলে-দোআঁশ মাটির উর্বর জমিতে এবার রেকর্ড পরিমাণে মরিচের আবাদ হয়েছে। ফলে নদী পাড়ের কৃষকের চোখে-মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে। ভালো ফলন ও বেশি দাম পেয়ে বেজায় খুশি চাষিরা। মরিচ খেতে কৃষকের ছোঁয়ায় আর সঠিক পরিচর্যায় গাছও হয়ে উঠেছে সুস্থ সবল। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে মরিচ। এ দৃশ্য দেখে কৃষকের মন ভরে উঠেছে। অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় মরিচ খেতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। দুপুর গড়াতেই মরিচ তুলে হাটে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন কৃষকরা। অনেকে আবার মরিচ তুলে নিয়ে বাড়িতে কিংবা জমিতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন। জমিতে পাইকারি বিক্রি করলে লাভ কম হয় বলেও জানান চাষিরা। উপজেলার আটটি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হওয়ায় এসব এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভালো নেই। সময়মতো বাজারে পণ্য নিয়ে যাওয়া আসা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় এবং পরিবহন খরচও বেশি। তাই ন্যায্যমূল্যে থেকে বঞ্চিত হয় মরিচ চাষিরা। উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের আটগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আতাউর রহমান, আজাহার আলী, আবদুল খালেক বলেন, আত্রাই নদীর তীরে আমরা প্রতিবারের মতো এবারও জমিতে মরিচ চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। কালিকাপুর ইউনিয়নের শলিয়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কে এম মাহাবুব বলেন, আত্রাই উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। এ নদীর দুই তীরে কৃষকরা মরিচ চাষে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার রায় বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২২ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মরিচ চাষে কীভাবে ফলন বৃদ্ধি করা যায় এবং চাষিরা বেশি লাভবান হন সেই দিকটা লক্ষ্য রেখেই আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।