রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি কোথাও নেই, কোথাও লবণাক্ততা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি কোথাও নেই, কোথাও লবণাক্ততা

চট্টগ্রাম ওয়াসা রমজানে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহের কথা আগাম প্রচার করেছিল। কিন্তু রমজানের শুরু থেকেই নগরের কোথাও পানি আছে, কোথাও নেই এমন অবস্থা। আবার অধিকাংশ এলাকার পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে পবিত্র রমজান মাসেও নগরবাসী ওয়াসার পানি নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে। সাহরি ও ইফতারসহ নানা সময় ও প্রয়োজনে পানির জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। তাছাড়া, ওয়াসার পানিতে স্বাভাবিক সময়ে লবণাক্ততার পরিমাণ প্রতি লিটারে ১০০ থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম হলেও গত কিছু দিন ধরে এর পরিমাণ বেড়ে প্রতি লিটারে ১৭০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত হচ্ছে। এতে পানি বিস্বাদ হয়ে উঠেছে। জানা যায়, রমজানে পানির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ওয়াসা দিনে ও রাতে দুটি করে তদারকি দল, ইফতার, সাহরি ও জুমার নামাজের সময় জরুরি বিবেচনায় বিনামূল্যে বিভিন্ন মসজিদ ও এলাকায় পানিবাহী গাড়ির মাধ্যমে পানি সরবরাহ, গ্রাহকের অভিযোগ গ্রহণ করে তাৎক্ষণিক সমাধানে চারটি মডে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু এবং পানি সরবরাহ নিশ্চিতে সাতটি তদারকি টিম গঠন করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এত উদ্যোগ থাকলেও পানিই নেই অনেক এলাকায়, কোথাও থাকলেও তা লবণের জন্য মুখে নেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, কয়েকদিন আগে পানির সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কম ছিল। কিন্তু এখন তা পুনরায় স্বাভাবিক করা হয়েছে। এখন রেশনিং করে পানি দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, এখন আর কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেন, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পানি কম ছাড়ায় কর্ণফুলী নদীতে মিঠা পানির পরিমাণ কমছে। তাছাড়া হালদার উজানেও পানির চাপ কমছে। ফলে কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের লবণাক্ত পানি হালদায় প্রবেশ করছে। তাই হালদা নদীর পানিতে লবণাক্ততার হার বেড়েছে। তবে এখন তা ধীরে ধীরে কমে আসছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে নগরের কাট্টলী, সিটি গেট, হালিশহর, পতেঙ্গা, সাগরিকা এলাকা, বাকলিয়া, বড়পুল, আগ্রাবাদ, বহদ্দারহাট ও পূর্ব মাদারবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সময় পানি মিলছে না। হালিশহর এলাকার বাসিন্দা শাফায়াত বলেন, আমাদের এলাকায় পানি কখনো আসে, কখনো আসে না। আসলে তার মধ্যে লবণাক্ততার পরিমাণ বেশি। তাই অনেক সময় বাধ্য হয়ে পানি বাইরে থেকে কিনেও পান করতে হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নগরে দৈনিক পানির চাহিদা ৪৬ থেকে ৪৮ কোটি লিটার। ওয়াসা চারটি পানি শোধনাগার থেকে দৈনিক প্রায় ৪৭ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে। এর মধ্যে রাঙ্গুনিয়া পানি শোধনাগার ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ থেকে দৈনিক পাওয়া যায় ২৮ দশমিক ৬ কোটি লিটার পানি। মদুনাঘাট পানি শোধনাগার থেকে পাওয়া যায় ৯ কোটি লিটার এবং মোহরা পানি শোধনাগার থেকে পাওয়া যায় ৯ কোটি লিটার। তবুও সংকট কাটছে না।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর