শিরোনাম
শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ক্রেতার দৃষ্টি শপিং মলে বিক্রেতা অপেক্ষায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্রেতার দৃষ্টি শপিং মলে বিক্রেতা অপেক্ষায়

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে কেনাকাটা করছে মানুষ। ছবিটি গতকাল গাউছিয়া মার্কেট থেকে তোলা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলা নববর্ষের আর এক সপ্তাহ বাকি। পবিত্র ঈদুল ফিতরের বাকি দুই সপ্তাহ। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের হাতে এরই মধ্যে বেতন চলে এসেছে। অনেকেই বড় এই দুই উৎসবকে ঘিরে কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন। রাজধানীর বিভিন্ন শপিং মলের বিক্রেতারা জানান, ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। তবে ঈদ ঘিরে ব্যবসায়ীরা যে কাক্সিক্ষত ক্রেতা সমাগমের আশা করেন আজ শুক্রবার ছুটির দিনে তা পূরণ হবে বলে  তারা ধারণা করছেন। রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের বিক্রেতারা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ঈদ ঘিরে ক্রেতাদের কেনাকাটা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। চাকরিজীবীদের যারা বেতন পেয়েছেন তারা শুক্রবার (আজ) থেকে পুরোদমে শপিং শুরু করবেন। কারণ, পরের সপ্তাহ থেকে মানুষজন ঢাকা ছাড়তে শুরু করবেন। শপিং মলটির বিভিন্ন ব্র্যান্ড শপ ছাড়াও ‘দেশী দশ’ ও ‘আড়ং’ এ এখন ক্রেতাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে ক্রেতা উপস্থিতিও তত বাড়বে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার পোশাকের দাম গত ঈদের তুলনায় বেশি। তারা জানান, গত ঈদের তুলনায় এবার পোশাকের দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের চেয়ে এবার পোশাকের কাপড়, সরঞ্জাম দাম ও শ্রমিকের মজুরি সবকিছুই বেড়েছে। এ জন্য ক্রেতাকে এই বাড়তি দাম দিতে হবে।

ঈদ ঘিরে তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসগুলোতে তাদের পছন্দের পোশাকের খেঁাঁজে যাচ্ছেন। ব্র্যান্ড হাউস ‘সেইলর’ এবার ঈদের পোশাকে মুঘল নকশার প্রাধান্য দিয়েছে। ঈদের জন্য ফ্যাশন হাউসটি পাঞ্জাবি ও সালোয়ার-কামিজ ছাড়া জুতা, ফরমাল শার্ট, কাফতান, ছোটদের পোশাক, কাবলি সেট, কুর্তি নিয়ে এসেছে। তাদের পোশাকে উজ্জ্বল রঙের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সুতি পোশাকের পাশাপাশি আছে শিফন ও  সিল্কের পোশাক।

ফ্যাশন হাউসগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড সারা লাইফস্টাইল লি. এবার ঈদ সামনে রেখে সব বয়সী ক্রেতার জন্য পোশাক এনেছে। মুঘল ও আধুনিকতার মিশেলেই পোশাকের মোটিফ ও প্যাটার্ন নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে স্ক্রিন, ডিজিটাল প্রিন্ট, কারচুপি, এমব্রয়ডারির কাজ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে। আনারকলি, ডাবল লেয়ার, এ লাইন, সিমেট্রিক বিভিন্ন কাজ থাকছে পোশাকগুলোর প্যাটার্নে। কাপড়ে সুতি, ভিসকস, ডেনিম, জর্জেট ও সিল্ক ব্যবহার করা হয়েছে।

ঈদ সামনে রেখে রাজধানীর গুলশান, বনানী ও ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে দেশীয় উদ্যোক্তাদের তৈরি দেশীয় ঘরানার পোশাক ছাড়াও গহনা ও ঘর সাজানোর সামগ্রীর প্রদর্শনী থাকবে। এর পাশাপাশি অনলাইনের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসগুলোতে এখন চলছে ঈদের কেনাকাটা।

নিম্ন আয়ের ক্রেতাদেরও ঈদের কেনাকাটা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। রাজধানীর ফার্মগেট ওভারব্রিজ, নিউমার্কেট, চাঁদনী চক মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট এবং মিরপুর-১০ নম্বর এলাকার ওভারব্রিজের আশপাশে এখন ঈদের বাজার জমে উঠেছে। মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় হোপ মার্কেটের সামনে কুলসুম আক্তার নামে এক পোশাক শ্রমিক বলেন, ‘ঈদের আগের দিন বাড়ি যামু। আইজ নিজের জন্য সালোয়ার-কামিজ কিনছি। বোনাস পাইলে মা আর ছোট বোনের লাইগা জামা কিনমু।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর