শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট শিশু জিহাদের হাত কেটে ফেলা হলো

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১২ বছর বয়সী শিশু জিহাদের বাম হাতটি কেটে ফেলা হয়েছে। ২০ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ২৭ মার্চ তার হাতটি কাটা হয়। চিকিৎসরা আগেই জানিয়েছিলেন জিহাদের বাম হাতের মাংস পচে যাচ্ছে। তাই হাতটি কেটে ফেলতে হয়েছে। এর আগে ৭ মার্চ নওগাঁ সদর থানার ৯ নম্বর চুন্ডিপুর ইউনিয়নের চুনিয়াগাড়ী গ্রামের মঞ্জুয়ারা বেগম তার টিনের চালায় শিশু জিহাদকে উঠালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে জিহাদের শরীরে আগুন ধরে যায়। টিনের চালার সঙ্গে পুরাতন বৈদ্যুতিক তারের লাইন ছিল। স্থানীয় ইলেক্ট্রিশিয়ান টিনের চালা স্পর্শ না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এর পরও মঞ্জুয়ারা বেগম পাশের বাড়ির জিহাদকে পাতা সরানোর জন্য টিনের চালার ওপর উঠিয়ে দেন। এর পরই ঘটে দুর্ঘটনা। জিহাদের পরিবারের দাবি, মঞ্জুয়ারা যেহেতু ছেলেটার অঙ্গহানির জন্য দায়ী সেহেতু তাকে প্রতিষ্ঠিত করে দিতে হবে।

জানা গেছে, নওগাঁর সদর থানার ৯ নম্বর চুন্ডিপুর ইউনিয়নের চুনিয়াগাড়ী গ্রামের গরিব সাজেদুর রহমানের চার ছেলেমেয়েদের মধ্যে জিহাদ বড়। সে স্থানীয় স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। দুর্ঘটনার পর পরিবারের লোকজন জিহাদকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়।

জিহাদের বাবা-মা, ভাইবোন অর্থের অভাবে ঢাকায় আসতে পারেননি। জিহাদের বড় আম্মা (জ্যাঠাইমা) তার দেখভাল করছেন। রংপুরের আকতারুজ্জামান সান্টু নামে এক আত্মীয় জিহাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করছেন। সান্টু বলেন, পাড়া প্রতিবেশী মঞ্জুয়ারার পরিবারকে চিকিৎসার জন্য চাপ দিলে প্রথমে তারা অস্বীকার করেন। আইনি জটিলতার ভয়ে ১০ মার্চ মঞ্জুয়ারা ঢাকায় রোগীর কাছে আসেন এবং কিছুটা চিকিৎসার ব্যবভার বহন করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর