শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে জমেনি বৈশাখী বাজার

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বৈশাখ মানেই লাল-সাদা রঙের রাজত্ব। মার্কেটে মার্কেটে বৈশাখী পোশাকের সমাহার। কিন্তু এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বৈশাখ বড় দুটি উৎসব প্রায় একই সময়ে। ফলে এবার বৈশাখী বাজার অতীতের মতো জমেনি। প্রতিটি মার্কেটে ঈদপণ্যের সমারোহ। তাই জমে ওঠেনি বৈশাখকেন্দ্রিক অর্থনীতি। তাছাড়া, ঈদের কারণে এবার বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতাও সীমিত। আজ ১ বৈশাখ। বাঙালির বর্ষবরণের দিন। বাঙালির চিরায়ত উৎসবে সম্মিলিত আয়োজনে বাংলা বর্ষকে বরণ করা হচ্ছে আজ। সাধারণত অভিজাত বিপণিবিতান ও ফ্যাশন হাউসগুলোয় সারা বছরের মোট বিক্রির অর্ধেকই হয় ঈদুল ফিতরের সময়। ২৫ শতাংশ হয় পয়লা বৈশাখে এবং বাকিগুলো বছরের বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু এবার ঈদ ও বৈশাখ প্রায় একই সময়ে হওয়ায় পয়লা বৈশাখের বিকিকিনি তুলনামূলক কম হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। আজ পয়লা বৈশাখ এবং আগামী ২২ অথবা ২৩ এপ্রিল ঈদুল ফিতর। দুটি বড় উৎসব কাছাকাছি সময়ে। এ কারণে ক্রেতারা কেনাকাটায় দুটি উৎসবকে এক করে সাশ্রয়ী হয়েছেন। তাছাড়া, অর্থনীতির মন্দা অবস্থা, মূল্যস্ফীতির চাপ এবং অতিজরুরি নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় অনেকে অতীতের মতো বৈশাখী উৎসবকে রাঙাতে পারছেন না। অতীতের মতো বৈশাখের বাহারি ডিজাইন-নকশার পোশাকের প্রতি আগ্রহে ভাটা পড়েছে। ক্রেতাদের প্রাধান্য ঈদের কেনাকাটায়। তবে অনেকে ঈদ ও বৈশাখী পোশাকের মধ্যে সমন্বয় রেখে কেনাকাটা করছেন। রেয়াজুদ্দিন বাজারের কাদেরিয়া বেনারসি কালেকশনের মালিক মাহবুবুল আলম বলেন, বৈশাখের সময় লাল-সাদা পোশাক বিক্রির যে ধুম আগে ছিল, এবার তা প্রায় নেই বললেই চলে। সবাই এখন ঈদমুখী বাজার করছে।

তবে কেউ কেউ বৈশাখের পোশাকও কিনছে। 

টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান বলেন, অর্থনৈতিক মন্দাভাব এবং নিত্যজরুরি পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এবার ঈদবাজারেও কিছুটা প্রভাব পড়েছে। এমনকি ১৫ রমজান পর্যন্ত পুরোদমে ক্রয়-বিক্রয় জমে ওঠেনি। গত কয়েকদিনে বিক্রি কিছুটা বাড়ছে। তাই এখন মানুষ জরুরি নিত্যপণ্য ক্রয়ের পরই ঈদবাজারমুখী হচ্ছে। বৈশাখের পোশাকের দিকে আগ্রহ কম।        

চট্টগ্রাম নগরের টেরিবাজার, রেয়াজুদ্দিন বাজার, হকার মার্কেট, সানমার ও ইউনেস্কো সেন্টার ঘুরে দেখা যায়, সর্বত্র ঈদবাজারের সমাহার। নানা বয়সী মানুষদের পোশাক শোভা পাচ্ছে দোকানে-দোকানে। কিন্তু সেখানে বৈশাখী রঙের পোশাকের অনুপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। বরং অধিকাংশ দোকানে পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষের চেয়ে ঈদের পোশাক ও পণ্য বেশি শোভা পাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর