শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

অবশেষে লঞ্চে মিলেছে যাত্রী

লঞ্চ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সুপারিশ মালিকদের

রাহাত খান, বরিশাল

অবশেষে লঞ্চে মিলেছে যাত্রী

অবশেষে কিছু যাত্রী পাচ্ছে দক্ষিণের বিভিন্ন রুটের নৌযানগুলো। তবে প্রত্যাশা মতো নয় বলে দাবি লঞ্চ মালিকদের। গতকাল নৌযানগুলো ধারণ ক্ষমতার ৫০ থেকে ৬০ ভাগ যাত্রী নিয়ে রাজধানী ছেড়েছে। যা অন্যান্য বারের চেয়ে কম। নৌযান শ্রমিকরা জানান, লঞ্চে বেশিরভাগ যাত্রী সাধারণত ডেক শ্রেণির। অন্যান্য বছর ডেক শ্রেণি টইটম্বুর থাকলেও চলতি বছর অনেকটা ফাঁকা। একই অবস্থা  কেবিনেরও। কোনো লঞ্চে ৫০ ভাগ আবার কোনো লঞ্চে ৬০ ভাগ কেবিন বুকিং হয়েছে মাত্র। লঞ্চ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন মালিকরা।

বরিশাল-ঢাকা রুটের অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের সুপারভাইজার মাসুদ খান জানান, ঈদের দুই দিন আগেও রাজধানী থেকে বরিশালগামী লঞ্চে তেমন যাত্রীর চাপ ছিল নেই। এবার আর যাত্রীর চাপ হওয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন না তারা। তবে গত দুই দিনের চেয়ে গতকাল যাত্রী তুলনামূলক বেশি ছিল বলে জানান তিনি।

একই রুটের পারাবত লঞ্চ কোম্পানির সুপারভাইজার নজরুল খান জানান, ডেক শ্রেণিতে জনপ্রতি ভাড়া ৪০০ টাকা। সিঙ্গেল কেবিন ১০০০ ও এসি সিঙ্গেল কেবিন ১১০০ টাকা, ডবল কেবিন ২০০০ এবং ডবল এসি কেবিন ২২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। ভাড়া আগের চেয়ে কিছুটা কমানো হলেও যাত্রীদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।

লঞ্চ ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে মুঠোফোনে আলাপকালে অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের মালিক নিজামুল ইসলাম মৃধা জানান, লঞ্চ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে বর্তমান ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন জরুরি। এর মধ্যে প্রধান হলো- গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়ক যানজটমুক্ত করা। প্রয়োজনে ফ্লাইওভার নির্মাণ করে হলেও সদরঘাটের রাস্তা ফ্রি করতে হবে। এ ছাড়া সদরঘাট টার্মিনালে প্রবেশ ফি অর্থাৎ ঘাট টিকিট মুক্ত (ফ্রি) করে দিতে হবে। বিআইডব্লিউটিএ’র নানা কর্মকান্ডে পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন বিভিন্ন রুটে পর্যালোচনা না করে নতুন নৌযান রুট পারমিট দেয় তারা। এতে আগে যে লঞ্চ চলত সেটি মার খায়। নতুন সূচি নিয়ে চলতে গেলে সেটিও মার খায়। লঞ্চগুলোর বিভিন্ন লাইসেন্স নবায়ন এবং বার্থিং ফি কমাতে হবে। মেহেন্দীগঞ্জের চ্যানেলটি শাসন করে চলাচলের উপযুক্ত রাখতে হবে। জ্বালানিতে ভর্তুকি দিয়ে হলেও লঞ্চ ব্যবসা টিকিয়ে রাখার দাবি জানান এই লঞ্চ মালিক।

ভারতের উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, এক সময় ভারতে নৌ পরিবহন খাত বেশ সমৃদ্ধ ছিল। যথাযথ যত্ন ও তদারকির অভাবে ভারতের নৌ খাত দুর্বল হয়ে গেছে। ভারতের মতো যেন বাংলাদেশের নৌ পরিবহন পরিস্থিতি না হয় সে জন্য এখন থেকেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান লঞ্চ মালিক সমিতির এই নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর