শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

জাপা ইশতেহারে, আওয়ামী লীগ দলীয় ঐক্যে ব্যস্ত

রংপুর সিটি করপোরেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

গত বছরের ২০ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বিজয়ী হয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মেয়রের চেয়ারে বসেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই তিনি নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরে যাওয়ার পর রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি দায়িত্ব পাওয়ার খুব একটা বেশি দিন হয়নি। নেতৃবৃন্দ দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাশাপাশি অগামী নির্বাচনে কীভাবে বৈতরণী পার হওয়া যাবে সেই চিন্তা করছেন। অপরদিকে বিএনপি রংপুর সিটি নির্বাচনে কোনো আগ্রহ দেখায়নি।

সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন চেয়ারে বসার মাত্র কয়েকদিন হলো। এর মধ্যে কোনো বড় ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়নি। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। আমার বিগত আমলে সিটি করপোরেশনে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন করে যাব। কারণ মানুষ ভালোবেসে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব। তিনি বলেন, শ্যামাসুন্দরী খালকে গুরুত্ব দিয়ে ৩১টি বিষয় আমি নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরেছিলাম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সিটি করপোরেশনে নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে আধুনিক নগর ভবন, চিকলী পার্ককে আধুনিকায়ন, মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সামনের রাস্তায় জেব্রা ক্রসিং, বর্ধিত ১৮টি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, নগরবাসীর নিরাপত্তায় আরও সিসি ক্যামেরা স্থাপন, টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ, হকার পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, নবাবগঞ্জ বাজারকে আধুনিকায়ন, মশক নিধন ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, সিটির প্রবেশমুখে দৃষ্টি নন্দন গেট নির্মাণ ইত্যাদি।

 তিনি বলেন, ইশতেহার বাস্তবায়নের পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর নগরী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে  যা যা করা দরকার তাই করব।

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাসেম বলেন-  বিগত নির্বাচনের মতো অবস্থা ভবিষ্যতে যাতে না আসে এ জন্য দলের প্রতিটি নেতা-কর্মী এখন থেকে কাজ করছেন। দলের ঐক্য না থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরেছেন। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি করেছেন। কমিটির প্রথম কাজই হবে দলীয় ঐক্য গড়ে তোলা। ঐক্যের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা আওয়ামী লীগ ও সরকারের প্রতিটি কর্মসূচি আন্তরিকতার সহিত পালন করছি। এতে নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যাকেই প্রার্থী দেবে, দলের নেতা-কর্মীরা তার হয়ে কাজ করবেন- এ বিষয়ে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। 

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সামু বলেন, রংপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ ছিল না। আগামী জাতীয় নির্বাচনে কী হয় সেই বিষয়ে আমরা লক্ষ্য রাখছি। রংপুর সিটি নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এ নিয়ে পরাজিত প্রার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর