শিরোনাম
শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
আউটার রিং রোড

চট্টগ্রামকে বদলে দিয়েছে যে সড়ক

মনোরম দৃশ্য আকৃষ্ট করছে পর্যটকদের

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট থেকে বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রবেশ মুখ পর্যন্ত সাগরপাড়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধে নির্মাণ হচ্ছে ‘আউটার রিং রোড’। এর কাজ পুরোদমে শেষ না হলেও যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে নগরে কমেছে গাড়ির চাপ। হ্রাস পেয়েছে যানজট। এ সড়কের মনোরম দৃশ্য আকৃষ্ট করছে লোকজনকে। যা পরিণত হয়েছে পর্যটন স্পটে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, প্রকল্পের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পুরোপুরি কাজ শেষ না হলেও আউটার রিং রোড যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে নগরের যানজট অনেক কমে গেছে। তিনি বলেন, আউটার রিং রোড, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, টানেল ও বিমানবন্দরের সড়ক একই জায়গায় মিলিত হওয়ায় যানজটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই ওই জায়গায় ইউলুপ তৈরি হচ্ছে। আশা করছি ২০২৪ সালের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এ সড়কে স্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে এলইডি সোলার লাইট, ডাটা কন্ট্রোল ইউনিটসহ আনুষঙ্গিক কিছু কাজ। জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দরের যাওয়া আসার গাড়িগুলো আউটার রিং রোড ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু টানেল যুক্ত হবে পুরো দেশের সঙ্গে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর, বে-টার্মিনাল, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এবং মহেশখালী গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে আসা যানবাহনগুলো নগরের যানজট এড়িয়ে সরাসরি যুক্ত হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে।

 এতে সময় ও জ্বালানির অবচয় রোধ হবে।

আউটার লিংক রোডে পর্যটন শিল্পকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত থেকে হালিশহরের দিকে প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে করা হবে বিশেষ পর্যটক জোন। এখানে একসঙ্গে সমাগম করতে পারবে ১০ হাজারের অধিক পর্যটক। সাগরে নামার জন্য থাকবে জেটি। থাকবে ওয়ার্কওয়ে, পাড়ে বসে সাগরের দৃশ্য উপভোগ করার জন্য থাকবে বেঞ্চ, খাবারের দোকান। শিশুদের জন্য থাকবে কিডস জোন, গ্রিন জোন। গাড়ি রাখার জন্য থাকবে পার্কিং।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের এক সমীক্ষায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত করার জন্য সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় সড়ক নির্মাণের সুপারিশ করা হয়। এটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সাগরের তীরে আউটার রিং রোড নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১৩ সালে প্রকল্পটি একনেক অনুমোদন করে। ২০১৬ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে সাতবার বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। চার দফা প্রকল্প ব্যয় বাড়ানোর পর গিয়ে ঠেকেছে ৩ হাজার ৩৪৯ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার টাকায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর