শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত সেনাপ্রধানের বৈঠক

প্রতিরক্ষা সহযোগিতা প্রসার

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

বাংলাদেশ-ভারত সেনাপ্রধানের বৈঠক

ভারত সফররত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ গতকাল নয়াদিল্লিতে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘পারস্পরিক সহযোগিতা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, প্রশিক্ষণ এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে সুসংহত স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারির অন্তর্গত বিষয় আলোচনার ভিত্তি।’ বাংলাদেশের সেনাপ্রধান বুধবার তিন দিনের সফরে ভারতে এসেছেন। তিনি সফর করবেন ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। বিবৃতিতে বলা হয়, এ সফরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রাসহ ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গেও আলোচনা হবে সামগ্রিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা প্রসার নিয়ে। জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সকালে জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে সেনা শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে সফর শুরু করেন।

এরপর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর সাউথ ব্লকে তাঁকে সামরিক গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর সফররত সেনাপ্রধান ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ অনিল চৌহান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার, বায়ুসেনা অধ্যক্ষ এয়ার চিফ মার্শাল এ পি সিং, বায়ুসেনার উপাধ্যক্ষ, প্রতিরক্ষা সচিব এবং পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ আলোচনায় ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে ভারতে তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, কারখানা এবং সেনাবাহিনীর নকশা সংস্থা সম্পর্কে জানানো হয় বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ সময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর অপারেশন এবং ভারত-বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা বাহিনী প্রশিক্ষণ সংস্থার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

আগামীকাল চেন্নাইতে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের প্রশিক্ষণ সংস্থার উত্তীর্ণ অফিসারদের পাসিং আউট প্যারেডের আনুষ্ঠানিক পরিদর্শন করবেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ভারতীয় অফিসারদের জন্য বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে দিয়ে রিভিউ করানো এক বিরল সম্মানের বিষয়। এরপর তিনি অফিসার প্রশিক্ষণ জাদুঘর পরিদর্শন করবেন এবং উত্তীর্ণ অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই দুই দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক প্রতিফলিত হয় উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময় এবং প্রতিরক্ষা সচিব পর্যায়ের, তিন বাহিনীর প্রধানদের বার্ষিক বৈঠকের মধ্যে। প্রতি বছর দুই দেশের মুক্তিযোদ্ধারা ডিসেম্বর মাসে ঢাকা ও কলকাতায় অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন।

সর্বশেষ খবর