শিরোনাম
শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাড়ি ভাড়া ও জমির দাম লাগামহীন

রংপুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

২০১২ সালে রংপুর পৌরসভা সিটি করপোরেশনে উন্নতি হওয়ার পর থেকে বাড়িওয়ালারা নিজেদের ইচ্ছামতো বাড়ি ভাড়া বাড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে জমির দামও বাড়ছে লাগামহীনভাবে। আগে নগরীতে একটি রুম ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা ভাড়া ছিল। বর্তমানে তা ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা। আগে তিন রুমের বাড়ি ভাড়া ছিল ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা তা এখন ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত হয়েছে। রংপুর বিভাগ ও সিটি করপোরেশন বাস্তবায়ন হওয়ার পর থেকে মহানগরীতে বাড়ি ভাড়া ও জমির দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন থাকলেও বাড়িওয়ালারা তা মানছেন না।

জানা গেছে, এক বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত একই ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন প্রায় ৪০ ভাগ পরিবার। ৫ বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বসবাস করছেন শতকরা ২৫ ভাগ পরিবার। ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়িওয়ালার সঙ্গে ঝগড়া হয় প্রায়ই। বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর আগে অনেক বাড়িওয়ালা কৌশলে পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন। আবার ভাড়া দিতে বিলম্ব হলে বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়ার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এমন অভিযোগও রয়েছে। রংপুরে বিভিন্ন জেলা-উপজেলার পাশাপাশি অন্যান্য জেলার নানা শ্রেণির মানুষ চাকরি ও ব্যবসার সুবাদে এ নগরীতে থাকেন। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো কাজের জন্য এ নগরীতে ছুটে আসেন। থাকতে হয় ভাড়া বাড়িতে। কিছু কিছু বাড়িওয়ালা নিজের ইচ্ছেমতো বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করায় তাদের অনেকটা হিমসিম খেতে হয়। ভাড়াটিয়াদের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বাড়ি ভাড়া বিষয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করলে কেউ সহজে ভাড়া বাড়াতে পারত না। এ ছাড়া এক যুগ আগে বাড়ি করার মতো জমির দাম বেড়েছে এলাকা ভেদে ১০ গুণের বেশি। নগরীর মেডিকেল মোড়, ধাপ এলাকায় জমির দাম সব চেয়ে বেশি। ধাপ এলাকায় কোটি টাকা দিলেও এক শতক জমি পাওয়া যায় না। নগরীর অন্যান্য এলাকায় ১০ বছর আগে যে জমির সর্বোচ্চ দাম ছিল দেড় লাখ থেকে ২ লাখ টাকা শতক। তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ থেকে ৩০ লাখ টাকায়। বাড়ি ভাড়া ও জমির দাম নির্ধারণে কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এ দুই সেক্টর খেয়াল খুশি মতো চলছে। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক ভাড়াটিয়া বলেন, এক বছর ধরে এখানে আছি। বেশির ভাগ বাড়িওয়ালা কয়েক মাস পর পর বাড়ি ভাড়া বাড়ায়। যার কারণে ভাড়াটিয়াদেরও ঘন ঘন বাসা পরিবর্তন করতে হয়। সংস্কৃতি কর্মী ও সংগঠক হুমায়ুন কবির মানিক বলেন, বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯১ এবং বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৬৪ নামে দুটি আইন  রয়েছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সজাগ থাকলে কোনো বাড়িওয়ালা যখন তথন ভাড়া বাড়াতে পারবেন না বলে তিনি মনে করেন।

সর্বশেষ খবর