শিরোনাম
সোমবার, ১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

আশ্রয়ণের ঘর পেয়ে পাল্টে গেছে ১২৩ পরিবারের জীবন-জীবিকা

জাকারিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ

আশ্রয়ণের ঘর পেয়ে পাল্টে গেছে ১২৩ পরিবারের জীবন-জীবিকা

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ‘শুঁটকি নদীর বাঁধ’ আশ্রয়ণ প্রকল্প। হঠাৎ করে প্রকল্পটি  দেখলে মনে হবে এটা কোনো স্বপ্নপুরি। মাত্র ক’দিন আগেও ছিল না যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই, তারাই এখন বসবাস করছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওই গ্রামে। শুধু তাই নয়, সরকারের দেওয়া এমন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পাল্টে গেছে ওই প্রকল্পে বসবাস করা ১২৩টি পরিবারের জীবন-জীবিকা। আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন-রাজিয়া খাতুন দম্পতি। কিছুদিন আগেও যাদের ছিল না সহায় সম্বল কোনো কিছুই। তারাই এখন স্বপ্ন দেখছে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার। আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘরের সামনের উঠানেই চাষ করছেন বেগুণ, আলু, লাউ ও শিমসহ নানা ধরনের শাক সবজি। ফলনও হয়েছে ভালো। রাজিয়া খাতুন বলেন, আমাদের চাষ করা এসব শাক সবজি নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে আমরা এখন বিক্রিও করছি। আর তা থেকে আমাদের ভালো আয়ও হচ্ছে। একই প্রকল্পের বাসিন্দা মোশাহিদ মিয়া ও মাকসুরা বেগম দম্পতি। স্বামী কাজ করেন বাহিরে আর মাকসুরা নিজ ঘরেই একটি মুদি দোকান পরিচালনা করেন। আশ্রয়ন প্রকল্পে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়ায় এখন ভালোই সংসার চলছে তাদের। বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের ভেতরেই শিশুদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিগগিরই একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে যেহেতু কোনো ব্যবস্থা নেই তাই ব্রাকের সাথে আলোচনা করে একটি প্রি-প্রাইমারি স্কুল চালু করার ব্যবস্থা করেছি।

হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের জন্য বিভিন্ন দপ্তর থেকে কাজ করা হচ্ছে। যাতে তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারে। তাদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও আগামী জুন মাসের মধ্যে আমাদের চেষ্টা থাকবে হবিগঞ্জ জেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর