শিরোনাম
সোমবার, ১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোন্তাজ গ্রেফতার

মানবতাবিরোধী অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোন্তাজ আলী ব্যাপারী ওরফে মমতাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গত শনিবার দিবাগত রাতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার চন্দ্রা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে এলিট ফোর্স র‌্যাব-৩ এর একটি দল। গতকাল দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলী র‌্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। র‌্যাব জানায়, ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান মামলার শুনানিতে হাজিরা না দেওয়ায় মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপর থেকেই মমতাজ তার নিজ বাড়ি ছেড়ে গাইবান্ধা সদরে জামাতার বাড়িতে ও পরে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে তার বড় ছেলে শফিকুল ইসলামের বাসায় আত্মগোপন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের একই মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ ৪টি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। ১৯৭১ সালে গঠিত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী মমতাজ জামায়াতে ইসলামীর গাইবান্ধা সদরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি আবদুল জব্বার গাইবান্ধা সদর এলাকার শান্তি কমিটি এবং সশস্ত্র রাজাকার বাহিনীর প্রধান সংগঠক ছিলেন। জব্বারের সঙ্গে যোগসাজশে মমতাজ শান্তি কমিটির সক্রিয় সদস্য হিসেবে এলাকায় লুটপাট ও বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম চালান।

র‌্যাব জানায়, ২০০৯ সালে গাইবান্ধা অধস্তন আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আবদুুর রউফ নামে একজন মামলা করেন। পরে ২০১৪ সালে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হলে মমতাজসহ অন্য আসামিরা ২০১৬ সাল পর্যন্ত জামিনে থাকেন। ২০১৬ সালে জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে এবং পরবর্তী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হলে তখন থেকে আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর তদন্তে আনীত প্রতিটি অভিযোগ প্রসিকিউশনের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পাঁচজন আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের রায় দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর