সোমবার, ১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

চেয়ারম্যান জাহিদ হত্যা মামলায় ১০ বছর পর যুক্তিতর্ক ২ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার রূপসায় গুলিতে নিহত বাগেরহাটের ফকিরহাট সদর ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহিদ হাসান হত্যা মামলায় রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক আগামীকাল ২ মে শুরু হচ্ছে। এতে আসামিদের মৃত্যুদন্ডের আবেদন জানাবেন রাষ্ট্রপক্ষ ও বাদী পক্ষের আইনজীবীরা। ২০১৩ সালে নৃশংস এই হত্যাকান্ডের বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত হওয়ায় আসামিরা জামিনে বাইরে বের হয়ে বাদী ও নিহতের স্ত্রী ইউপি চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুলনার তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাসনিম জোহরার আদালত ২ মে মামলার যুক্তিতর্ক শুরুর দিন ধার্য করেন। পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, ২০১৩ সালের ১৮ মে চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান রূপসা নদী পার হয়ে পূর্ব রূপসা ঘাট থেকে একটি মোটরসাইকেলে ফকিরহাটের উদ্দেশে রওনা হন। খুলনা-মোংলা সড়কের রূপসার আমদাবাদ স্কুলের সামনে সন্ত্রাসীরা জাহিদ হাসানকে গুলি করে।

এতে চেয়ারম্যান খান জাহিদ হাসান ও মোটরসাইকেল চালক মুন্না শিকদার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নিহত জাহিদ হাসানের স্ত্রী শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে রূপসা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। রূপসা থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। একপর্যায়ে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. রোকনুজ্জামান মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিরঞ্জন কুমার ঘোষ বলেন, একসময় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নৃশংস এ হত্যাকান্ডের বিচার শুরু হয়েছিল। ওই সময় মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণও করা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় মামলাটি নিয়মিত আদালতে স্থানান্তর করা হয়।

মামলার বাদী শিরিনা আক্তার বলেন, অবিলম্বে চার্জশিটভুক্ত আসামি ও হত্যাকান্ডের নেপথ্যে জড়িতদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার শেষ করা হোক। আসামি পক্ষের অব্যাহত ষড়যন্ত্র ও হুমকিতে পরিবারের সবাই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কয়েকবার আমাকেও হত্যার চেষ্টা চালানো হয়, হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় অর্ধডজনের বেশি জিডি করা হয়েছে।

চার্জশিটে হত্যাকান্ডে ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তারা হলেন- খুলনা ও বাগেরহাটের বাসিন্দা হারুনুর রশীদ, বাসার, জিল্লুর, আজাদ, মেহেদী হাসান রনি, আলমগীর ওরফে বাঘা, আলী হোসেন ওরফে বাবলু, গোলাম হোসেন ওরফে ডালিম, সাবাজ মোল্লা, জিন্নাত আলী, মোহাম্মদ আলী ও আবদুর রহমান।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর