মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

সংকটে আশা জাগানো প্লাস্টিক খাত

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রপ্তানি হয়েছে ১৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার

রাশেদ হোসাইন

সংকটে আশা জাগানো প্লাস্টিক খাত

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ সময়ে এই খাতে রপ্তানি বেড়েছে ৩২ দশমিক শূন্য ৪৮ শতাংশ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে কিছুটা ভাটা পড়লেও আশা জাগিয়েছে প্লাস্টিক খাত। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রপ্তানি হয়েছে ১৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। সে হিসাবে রপ্তানি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ ছাড়া লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় এবার রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে এটা আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম। কারণ উৎপাদিত পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে টাকার অঙ্কটাও বেড়ে গেছে। রপ্তানি খাতে নতুন নতুন দেশ যুক্ত হচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য রপ্তানি তুলনামূলক কমার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের লোকাল বাজারে প্লাস্টিক বর্জ্যরে চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে বিদেশে রপ্তানি কমেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত পিভিসি ব্যাগ রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ২ কোটি ১৪ লাখ ডলার। এ খাতে রপ্তানি বেড়েছে ৩২ শতাংশ। অন্যদিকে ১০ মাসে প্লাস্টিক বর্জ্য রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ১ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। রপ্তানি কম হয়েছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যান্য প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি ৪৪ দশমিক শূন্য ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ১০ মাসে এসব পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে ১২ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ৮ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। বিপিজিএমইএর তথ্য মতে, দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫ হাজার কারখানায় প্রায় ১৫ ক্যাটাগরিতে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন হয়। এর মধ্যে পোশাক খাতের জন্য পলিব্যাগ, হ্যাঙ্গার, প্লাস্টিক ক্লিপ, বোতাম; খেলনাসামগ্রীর মধ্যে পুতুল, বল; ঘরে ব্যবহার্য চেয়ার, টেবিল, ডাইনিং টেবিল, বিভিন্ন ধরনের রেক, ঝুড়ি, বাথটাব, জগ, মগ; অফিসে ব্যবহার্য পেপারওয়েট, স্কেল, টেবিল, বলপেন, ফাইল কভার অন্যতম। কৃষি খাতের জন্য পাইপ ও সাইকেলের যন্ত্রাংশের মধ্যে বাম্পার, হাতলের কভার, ব্যাক লাইট, স্পোক লাইট; মাছ ও ডিম রাখার ঝুড়ি, ভিডিও ও অডিও ক্যাসেট, কম্পিউটারের উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্যও দেশে তৈরি হচ্ছে। সংগঠনটির তথ্য মতে, প্লাস্টিক পণ্যের ৪০ হাজার কোটি টাকার স্থানীয় বাজার রয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, স্পেন, কানাডাসহ প্রায় ২৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর