মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

এবার ঝরল না কাঁচা আম

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

এবার ঝরল না কাঁচা আম

রংপুরে বৈশাখে নেই ঝড়, নেই দক্ষিণের দমকা বাতাস। তাই কাঁচা আমের স্বাদ ও আচার থেকে বঞ্চিত এ অঞ্চলের মানুষ। প্রতি বছর এ সময় গৃহিণীরা কাঁচা আমের হরেক পদের আচার তৈরি করেন। এবার বাজারে কাঁচা আম না থাকায় অনেক গৃহিণীর আচার তৈরির আশা নিরাশ হতে চলেছে। এদিকে বৃষ্টি না থাকা এবং তপ্ত রোদের কারণে অনেক স্থানে আমের গুটি পড়ে যাওয়ায় ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন আম চাষিরা।

জানা গেছে, হাঁড়িভাঙা আমের ফলন বেশি হলেও ফজলি, কেরোয়া, এছাহাক তেলি, ছাইবুদ্দিন, আশ্বিনী, সাদা ল্যাংড়া, কালা ল্যাংড়া, কলিকাতা ল্যাংড়া, মিশ্রিভোগ, গোপালভোগ, আম্রপালি, সাদা রচি, চোচা ও আঁটিসহ অনেক জাতের আম রয়েছে। তবে হাঁড়িভাঙা আমের চাহিদাই বেশি। একটি হাঁড়িভাঙা আমের ওজন ৪০০ থেকে ৪৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফলে পাকা আমের মতো কাঁচা আমেরও কদর রয়েছে। আম পাকার আগে প্রতি বছর কমবেশি ঝড় কিংবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায় এই অঞ্চল দিয়ে। ঝড়ে কাঁচা আম গাছ থেকে ঝরে যায়। ঝড়ে পড়া আম স্থানীয়রা বাজারে বিক্রি করে। অনেকে শখের বশে কাঁচা আমের ভর্তা খান। আবার কেউ কেউ আচার করেন। কেউ আবার ডালের সঙ্গে কাঁচা আম খান। এবার ঝড়-বাদল না থাকায় কাঁচা আম পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। নগরীর কামাল কাছনা এলাকার গৃহিণী মনিরা ইসলাম বলেন, প্রতি বছর এই সময় কাঁচা আমের আচার তৈরি করে নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি  মেয়েজামাইসহ আত্মীয়স্বজনকে দিয়ে থাকি।

 আম পাকার সময় হয়ে গেছে এবার কাঁচা আম না পাওয়ায় আচার করতে পারিনি। তার মতো অনেকেই এবার কাঁচা আমের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

রংপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার রংপুর জেলায় ৩ হাজার ৫ হেক্টরের জমিতে আমের ফলন হয়েছে। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙার ফলন হয়েছে ১ হাজার ৪৫০ হেক্টরে। গত বছর প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছিল ৯ দশমিক ৪ মেট্রিক টন। এবার আশা করা হচ্ছে গত বছরের চেয়ে ফলন বেশি হবে। সেই হিসাবে শুধু হাঁড়িভাঙা উৎপাদন হতে পারে দেড় হাজার মেট্রিক টনের ওপর। মৌসুমের শুরুতে দাম কিছুটা কম থাকলে প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙা আম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর