অপহরণ শেষে মুক্তিপণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা না পাওয়ায় সাভারের আশুলিয়ায় হৃদয় (২২) নামে এক কলেজছাত্রকে হত্যা করেছে বন্ধুরা। নিহত হৃদয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অপহরণের ১০ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকালে আশুলিয়ার মোজারমিলের শিববাড়ি এলাকার একটি ডোবা থেকে ভিকটিমের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৪। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- মানিকগঞ্জ সদর থানার পশ্চিম দাসপাড়া গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে ময়েজ হোসেন ওরফে পরান (২২), বগুড়ার সোনাতলা থানার মহেশপাড়া গ্রামের তাহেলুল ইসলামের ছেলে মো. সুমন মিয়া ওরফে বাপ্পী (২৩) ও আকাশ মিয়া।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার মূল হোতা পরান ও ভিকটিম হৃদয় একই এলাকার বাসিন্দা এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। হৃদয়ের বাবা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ও সচ্ছল। পরান তার সহযোগী মো. সুমন, আকাশ মিয়া এবং পলাতক আসামি শাহীন মিলে সুকৌশলে হৃদয়কে ডেকে এনে রশি দিয়ে বেঁধে তার মাকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। পরে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে আসামিরা প্রথমে হৃদয়কে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর তার মুখে বালিশচাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ বস্তাবন্দি করে রিকশায় এনে আশুলিয়ার মোজারমিল এলাকার পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দেয়।’