বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিরল প্রজাতির মদনটাক উদ্ধার

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বিরল প্রজাতির মদনটাক উদ্ধার

বিরল প্রজাতির ও বিলুপ্তপ্রায় একটি মদনটাক পাখি অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মদনটাক আজ বিলুপ্তির পথে। অথচ মদনটাক পাখি পরিবেশের জন্য উপকারী। খাদ্যাভাব ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এ পাখি এ অঞ্চলে এখন তেমন দেখা যায় না। উদ্ধারকৃত বিলুপ্তপ্রায় মদনটাক পাখিটি চিকিৎসা শেষে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান খানসামা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হুমাযুন কবির। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাষকৃত জমি থেকে খানসামা উপজেলার ভাবকি ইউপির গুলিয়ারা গ্রামের শিবু মাস্টারপাড়ায় পাখিটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাখিটি অসুস্থ ছিল। স্থানীয়রা বলেন, পাখিটির পা ও ঠোঁট অনেক লম্বা। পিঠের ওপর ধূসর কালো রং ও সাদা বর্ণের শরীর। পাখিটি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় ঠিকমতো উড়তে পারছে না। পাখিটির মাথায় পালক না থাকায় ধারণা করা হচ্ছে এটি বিরল প্রজাতির মদনটাক পাখি। গভীর অরণ্য, সুন্দরবনসহ হাওর অঞ্চলে এ প্রজাতির পাখি দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের এলাকায় এ পাখি দেখা যায় না। খানসামা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হুমাযুন কবির জানান, উদ্ধারকৃত পাখিটি মদনটাক। খাদ্যের খোঁজে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলে।খাদ্যের খোঁজে ছুটতে ছুটতে একসময় দুর্বল হয়ে লোকালয়ে এসে পড়ে। সংবাদ পাওয়া মাত্র সেখানে একজন কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে। খানসামা উপজেলা বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) এস এম মঞ্জুরুল কাদের জানান, বিষয়টি অবগত আছি। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে পাখিটিকে। 

উল্লেখ্য, মদনটাক পাখি জলচর পাখি হিসেবেও পরিচিত। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির মাথা ও ঘাড়ে বিক্ষিপ্ত ঘন পালক থাকে। মদনটাক পানির ধারে, ঘাসযুক্ত এলাকা অথবা নরম কাদায় খাবার খুঁজে খায়। এদের প্রধান খাদ্য মাছ। এ ছাড়া ব্যাঙ, সরীসৃপ, কাঁকড়া ও বিভিন্ন জলজ প্রাণী খায়। কখনো একাকী, কখনো জোড়ায় জোড়ায় আবার কখনো দলবদ্ধভাবে বিচরণ করে। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে উঁচু গাছের মগডালে ডালপালা দিয়ে বাসা বানিয়ে ডিম পাড়ে। স্ত্রী জাতীয় মদনটাক তিন থেকে চারটি পর্যন্ত ডিম দেয়। ২৮ থেকে ৩০ দিন পরই ডিম থেকে বাচ্চা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর