শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে বেড়েছে বিনিয়োগ

জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, বিনিয়োগবান্ধব সরকারি নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, প্রণোদনা প্রদান, অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কারণে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি জানান, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত অর্থাৎ গত চার অর্থবছরে দেশে মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ৪৬ লাখ ৯১ হাজার ১৯৫ মিলিয়ন টাকা। গতকাল জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ-সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী। লিখিত জবাবে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) তথ্য তুলে ধরেন।

বিডার তথ্য মতে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর থেকে ২০২১-২০১২ অর্থবছরে দেশি বিনিয়োগ ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯৮৯ মিলিয়ন টাকা। বিদেশি বিনিয়োগ ১২ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ (বারো লাখ সাতচল্লিশ হাজার দুই শ’ পাঁচ দশমিক ছয় আট ছয়) মিলিয়ন টাকা। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশে প্রকৃত বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১৩ লাখ ৩০ হাজার ৪৯৫ মিলিয়ন টাকা।

সংসদে সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জানিয়েছেন, ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ২ লাখ ২৮ হাজার ১২৯ জনের বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী কর্মসংস্থানসহ কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মসূচিগুলোর মধ্যে অন্যতম। বর্তমান সরকারের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষিত বেকার যুবকদের অস্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৯-১০ অর্থবছরে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। তিনি আরও জানান, এ কর্মসূচির প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম পর্বের কার্যক্রম ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। অষ্টম পর্বের কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং এ পর্বের কার্যক্রম আগামী ৩১ আগস্ট সমাপ্ত হবে। এ পর্যন্ত আটটি পর্বে দেশের ৪৮টি জেলার ১৩৭টি উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে। এ কর্মসূচির মোট বাছাইকৃত উপকারভোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬১৪ জন। এ পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৪ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর