আগামী সোমবার অনুষ্ঠেয় কক্সবাজার পৌর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের পুলিশ ও আনসার সার্বক্ষণিক অবস্থান করবে। একই সঙ্গে পুলিশের টহল দল, বিজিবি, র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। মাঠে থাকবেন একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচনের ৪৩টি কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রকে সমান ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করা হবে। কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার এস এম শাহাদাত হোসেন জানান, শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ। এবারের নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থীসহ ৭৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৪৩টি কেন্দ্রে ২৪৫টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। যেখানে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ৪ শতাধিক কর্মকর্তা ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রকে সমান ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রেখে নেওয়া হয়েছে সার্বিক প্রস্তুতি। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, নির্বাচনের আচরণবিধি রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ এবং কঠোরভাবে কাজ করা হচ্ছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা পৌর এলাকায় ঘুরে কোথাও আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কি না তা দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থীদের সতর্ক করার পাশাপাশি আদায় করা হয়েছে ১০ লাখ টাকার বেশি জরিমানা। এসব অভিযানে অবৈধ নির্বাচনী কার্যালয় বন্ধ ও পোস্টার অপসারণও করা হয়েছে। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মতে ভোট গ্রহণের দিন দায়িত্ব পালনের জন্য ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রস্তুত রয়েছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ে কাজ করবে জেলা প্রশাসন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশের যা করা প্রয়োজন তার সবই করছে এবং করবে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সব নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করছে পুলিশ।