রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে বেহাল দশা বিএনপির

তৃণমূলে ক্ষোভ ও হতাশা

মুহাম্মদ সেলিম ও ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

আহ্বায়ক কমিটির ওপর ভর করে চলছে চট্টগ্রাম ও তার অঙ্গ সংগঠনের ইউনিটগুলো। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বহিরাগত নেতাদের হস্তক্ষেপ, কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধসহ নানা কারণে হিমশিম খাচ্ছে বিএনপি। চট্টগ্রামে বিএনপির তিন সাংগঠনিক জেলার পাশাপাশি দলটির অঙ্গ সংগঠনের একই অবস্থা। নেই দলীয় শৃঙ্খলা। বিএনপি নেতাদের তোয়াক্কা না করেই নিজেদের খেয়ালখুশিতে কার্যক্রম করছে কয়েকটি সংগঠন।

বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন উর রশীদ বলেন, তিন সাংগঠনিক জেলায় বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকলেও দলীয় কার্যক্রমে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার হস্তক্ষেপের কারণে চট্টগ্রাম বিএনপির শৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। যে যার খেয়ালখুশিতে চলছে। দলীয় শৃঙ্খলা না থাকার কারণে বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে বিএনপি। এতে করে হতাশ হয়ে পড়েছেন নেতা-কর্মীরা। জানা যায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে ডা. শাহাদাত হোসেন আহ্বায়ক ও আবুল হাশেম বক্করকে সদস্যসচিব করা হয়। এরপর দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বহিরাগত নেতাদের হস্তক্ষেপ ও গ্রুপিংয়ে ইন্ধনসহ নানা কারণে নাজুক অবস্থা। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ছয় মাসের জন্য ঘোষণা করা হয় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। আবু সুফিয়ানকে আহ্বায়ক ও মোস্তাক আহমেদ খানকে সদস্যসচিব করা ছয় মাসের ওই কমিটি চলছে চার বছর ধরে। এরই মধ্যে থানা ও পৌরসভায় আহ্বায়ক কমিটি দিলেও তাতে আর্থিক লেনদেন ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে নিষ্ক্রিয় দলের বিশাল একটা অংশ। চার বছরে কোনো ইউনিটে সম্মেলন করতে পারেনি সংগঠনটি। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপিতে ফের গেড়ে বসেছে আহ্বায়ক কমিটি। ৯ বছর আগে আসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও কাজী আবদুল্লাহ আল হাসানকে সদস্যসচিব করে ৯১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে অবস্থান করছেন আসলাম চৌধুরী ও ২০১৮ সালের মৃত্যুবরণ করেন সদস্যসচিব কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান। ওই আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে আবারও ২০২০ সালের ডিসেম্বরে গোলাম আকবর খোন্দকারকে আহ্বায়ক করে কমিটি করা হয়। পরে ৯ জন নেতাকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ছয় মাসের কমিটির কার্যক্রম চলছে তিন বছর ধরে। জেলার আওতাধীন ইউনিট কমিটি গঠন করা হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছে দলটির নেতারা। চট্টগ্রামের তিন সাংগঠনিক জেলায় মূল দলের মতো একই অবস্থা ছাত্রদল, যুবদলের। এ ছাড়াও বিএনপির অন্য সহযোগী সংগঠনের মধ্যে জাসাস, তাঁতীদল ও মৎস্যজীবী দলের চট্টগ্রামের তিন জেলায় সেভাবে কোনো ধরনের কার্যক্রম নেই। জাসাসের কমিটি থাকলেও বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাড়া তাদের নিজস্ব কোনো কার্যক্রম নেই।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর