প্রতিবছর রংপুরে হাঁড়িভাঙা আম বাজারজাত করার সময় কিছু আনুষ্ঠানিকতা করা হয়। কিন্তু এবার নির্ধারিত সময়ের ১০ দিন আগে ১০ জুন থেকে আম বাজারজাতকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এর জন্য কোনো আনুষ্ঠানিকতা করা হয়নি। হাঁড়িভাঙা বাজারে আসার কথা ছিল ২০ জুন থেকে। কিন্তু প্রখর খরতাপের কারণে হাড়িভাঙা নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই বাজারে আসতে শুরু করে। এ অবস্থায় আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ জুন থেকে হাড়িভাঙা বাজারজাতকরণের দাবি জানান। তাদের দাবি প্রেক্ষিতে ১০ জুন থেকে হাঁড়িভাঙা বাজারজাতকরণ শুরু হয়েছে কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই।

মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রথম থেকেই প্রচন্ড গরম ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমের সাইজ অন্যান্য বছরের তুলনায় ছোট হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে খরা অবস্থা বিরাজ করায় আমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গরমে নির্ধারিত সময়ের আগেই আম পাকতে শুরু করে। এ অবস্থায় বিগত বছরের মতো আমে লাভ না-ও হতে পারে বলে শঙ্কা করছেন চাষি ও আম ব্যবসায়ীরা।

আনুষ্ঠানিকতা প্রসঙ্গে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, আমার জানা মতে এবার কোনো আনুষ্ঠানিকতা করা হয়নি। কারণ হাঁড়িভাঙ্গা নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই চাষিরা বাজারজাত শুরু করেছেন।

কৃষি বিপণন কেন্দ্রর উপ-পরিচালক শামসুর রহমান প্রায় একই ধরনের কথা বলেন। তিনি জানান, এবার আম বাজারজাতকরণের তারিখ নির্ধারণ করেছে মিঠাপুকুর ও বদরগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, আমার জানা মতে এবার কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর শুধু হাড়িভাঙ্গা আম বিক্রি করে রংপুরের চাষিরা ২০০ কোটি টাকার ওপর ঘরে তোলেন। রংপুরে এবার ১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে হাড়িভাঙ্গার আবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং মৌসুমের শেষ দিকে প্রতি কেজি হাড়িভাঙ্গা আম ১৫০ টাকার বেশি কেজি বিক্রি হয়।