রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদী থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থীর নাম ইয়াসমিন মাহমুদ মাহিম (১৫)। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। গতকাল সকালে কামরাঙ্গীরচর খোলামুড়া এলাকায় নদীতে লাশটি ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে নৌ পুলিশের বসিলা ফাঁড়ির একটি টিম এসে লাশ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ কলেজ মর্গে পাঠায়।
এদিকে গতকাল বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনের ফুটপাত থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধারের বিষয়ে নৌ পুলিশের পরিদর্শক অনিমেষ হালদার বলেন, লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
মাহিমের মামা রেজাউল করিম সোহাগ বলেন, শুক্রবার চুল কাটার কথা বলে বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে মাহিম নিখোঁজ ছিল। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও না পেয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। চুল কাটা শেষে আজিমপুরে মাহিমের এক বন্ধুর দাদির কুলখানিতে যাওয়ার জন্য সে তার মাকে রাজি করায়। কিন্তু সেখানে সে যায়নি।পরে তার মোবাইল ফোন চেক করে আমার ভাগনের এক সহপাঠীর সঙ্গে দেখা করার তথ্য পাই। তার কাছে জানতে চাইলে সে মাহিমের সঙ্গে দেখা করার কথা অস্বীকার করে। শুক্রবার থেকে সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে খোঁজ করেছি। পরে খোলামুড়া ঘাট এলাকায় গেলে এক পথচারীর মাধ্যমে নদীতে লাশ ভেসে থাকার খবর পাই।
জানা গেছে, মাহিম তার মায়ের এক মাত্র সন্তান। বাবা মাসুদুর রহমানের সঙ্গে ১০ বছর আগে মায়ের বিয়েবিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে কামরাঙ্গীরচর বাগানবাড়ি এলাকায় সে তার মায়ের সঙ্গে থাকত। মা সাবিনা ইয়াসমিন স্থানীয় একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষক।
অন্যদিকে ঢামেক সূত্র জানায়, ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রবেশ গেট সংলগ্ন আরএস হোটেলের সামনের সড়কে ফুটপাত থেকে একটি ছেলে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
শাহবাগ থানার এসআই নুরে আলম জানান, ট্রিপল নাইনে খবর পেয়ে গতকাল বিকাল ৫টায় ফুটপাত থেকে নবজাতকটির লাশ উদ্ধার করা হয়। কে বা কারা ফুটপাতে নবজাতকের লাশটি ফেলে রেখে যায়।