বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংসদে প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে সরকার ইসিকে পূর্ণ সহায়তার ব্যবস্থা নিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, ভীতিহীন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা দেওয়ার সব ব্যবস্থা নিয়েছে।

গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান বাংলাদেশের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, তখনই সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন যাতে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে সে জন্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, ভীতিহীন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০১২’ প্রণয়ন করেছি (২০২২ সালের ০১ নম্বর আইন)। এ আইন অনুযায়ী ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী, নিরপেক্ষ এবং প্রশাসনিক ও আর্থিকভাবে স্বাধীন। নির্বাচনকালীন নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি কর্মকর্তা/প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত হবে। নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করে যাবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে যা যা করার তার সবকিছু করবে। আমরা দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষককে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

যারাই পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় তারা পাঠাতে পারবে। জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগ সব সময়ই দেশে ওয়েস্ট মিনিস্টার স্টাইল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছে; আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্রের ইতিহাস। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার ইতিহাস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতা দখল করতে আসেনি বরং জনগণকে এ অধিকার ফিরিয়ে দিতে এসেছে, যাতে জনগণ তাদের সরকার বেছে নিতে পারে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন আইন-২০২২ এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে আমাদের সরকার যা যা আবশ্যক সে সব বিধি করবে। ইতোমধ্যে যত জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জাতীয় সংসদের শূন্যপদের নির্বাচন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন/উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে স্বাধীনভাবে এসব নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে। সরকারের সব দফতর/বিভাগ এতে সহযোগিতা করেছে। আমাদের সরকারের সময়ের কোনো নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। আমরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করতে পেরেছি। নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দিয়েছে সেই নির্বাচিত হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির আমলে অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো বিতর্কিত নির্বাচন কখনো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়নি এবং হবেও না। দেশের জনগণ যাতে তাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে সে লক্ষ্যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন স্বাধীন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে আমাদের সরকার সদা প্রস্তুত রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর