বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
ফিকির সংবাদ সম্মেলন

করপোরেট কর কমানোর দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) করপোরেট করের বোঝা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট এবং আয়কর আইন (আইটিএ), ২০২৩-বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফিকি সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট দীপাল আবেইউক্রেমা, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রশীদ, ট্যারিফ-ট্যাক্সেশন ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কমিটির কো-অর্ডিনেটর সাজ্জাদ রহিম চৌধুরী, ট্যারিফ-ট্যাক্সেশন ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য দেবব্রত রায়চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির ও কনসালট্যান্ট স্নেহাশীষ বড়ুয়া।

ফিকি সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, কার্বোনেটেড পানীয় শিল্পের ওপর যে কর আরোপ করা হয়েছে তা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। বেভারেজ শিল্পের ন্যূনতম কর ০.৬% থেকে বাড়িয়ে মোট প্রাপ্তির ৫% (৮ গুণ) বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে; যার ফলে কোমল পানীয়ের দাম ৩০ শতাংশের বেশি বাড়বে। পণ্যের ভোগ কমে যাবে এবং পরে সরকারি কর আদায় হ্রাস পাবে, যা শেষ পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং এ খাতে কর্মসংস্থানকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই এ শিল্পের বিকাশের সুযোগ দিতে ন্যূনতম কর ১% করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি বলেন, খসড়া আয়কর আইন (আইটিএ), ২০২৩-এর বিধানগুলোর গভীর ও বিস্তৃত পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। কারণ এ আইনের কিছু বিধান আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর বিবেচনায় অযৌক্তিক বলে মনে হয়। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের ওপর আরোপিত ভ্যাট এবং লোকসানে থাকা কোম্পানিগুলোর ওপর করের বোঝা বাড়ার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সম্পত্তির ওপর বর্ধিত কর জনগণকে সরকারি দলিলে প্রকৃত সম্পত্তির মূল্য উল্লেখ না করে মৌজা রেট উল্লেখ করতে প্রণোদিত করবে। এটি সরকারকে করের বিশাল একটি উৎস থেকে বঞ্চিত করতে পারে। যে কারণে সম্পত্তি কর লেনদেনের খরচ বৃদ্ধির পরিবর্তে তা যথেষ্ট পরিমাণে কমিয়ে আনা উচিত বলে জানান তিনি।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর