বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

১ হাজার ৬২৯ কোটি টাকার ১২ দরপ্রস্তাব অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৬০০ এমএমসিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ) স্থাপন করবে সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং গ্রুপ। গতকাল অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও শিল্পখাতে গ্যাস সরবরাহের জন্য এক কার্গো এলএনজি আমদানি এবং দেশের ১৪ হাজার ২০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য ওষুধ কেনার জন্য পৃথক দুটি প্রস্তাবসহ ১২টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৬২৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত এবং ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও সভায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জিটুজি চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩ লাখ ৯০ হাজার, কাতার থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার, সৌদি আরব থেকে ৫ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির তিনটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

 তিনি বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক কক্সবাজারের মহেশখালীতে দৈনিক ৬০০ এমএমসিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য অধিক পরিমাণ এলএনজি আমদানির সুবিধার্থে মহেশখালীতে আরও একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০২১ এর আওতায় মহেশখালীতে দৈনিক ৬০০ এমএমসিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড একটি প্রস্তাব দেয়। দেশে বর্তমানে দুটি এলএনজি টার্মিনাল আছে। মহেশখালীতে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট সক্ষমতার এ দুটি টার্মিনাল নির্মাণ করে ইউএসএ-এর এক্সেলরেট এনার্জি এবং সামিট গ্রুপ। এর মধ্যে মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই পেট্রোবাংলার সঙ্গে চুক্তি করে এক্সিলারেট এনার্জি। নির্মাণ শেষে ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট গ্যাস সরবরাহ শুরু করে কোম্পানিটি। ১৫ বছর মেয়াদি এ টার্মিনাল দিয়ে গ্যাস সরবরাহের চুক্তি রয়েছে ২০৩২ সাল পর্যন্ত। তবে এরই মধ্যে এ টার্মিনাল চুক্তির মেয়াদ ২০৩৮ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

একই প্রযুক্তি মেনে মহেশখালীতে ভাসমান স্থানীয় জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট গ্রুপ এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল চুক্তি করে। এরপর ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল গ্যাস সরবরাহ শুরু করে কোম্পানিটি। এ টার্মিনালের মেয়াদ রয়েছে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত। কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূলে স্থাপিত এ দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের সরবরাহ সক্ষমতা ১ হাজার এমএমসিএফডি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর