শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বর্ষার শুরুতেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

চট্টগ্রাম

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বর্ষার শুরুতেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

চট্টগ্রামে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। জানুয়ারি থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৬১ জন। এর মধ্যে জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮২ জন। চলতি মাসের ১৫ দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ জন। আক্রান্তের বেশির ভাই নগরে ১৭৫ জন। এর বাইরে ১৫ উপজেলায় ৮৬ জন। অভিযোগ রয়েছে, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) দৃশ্যমান কোনো কর্মসূচি দেখা যায় না। ৪ জুন মশক নিধনে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হয়। তবে স্প্রেম্যানদের দেখা যায় মাঝে মাঝে। এতে নগরে এডিস মশা উৎপাদনের ক্ষেত্র দিন দিন বাড়ছে। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৭৭ জন। এর মধ্যে নগরে ৫৬ ও ১৫ উপজেলায় ২১। মারা যান তিনজন। ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত হন ২২ জন। নগরে ১১ ও ১৫ উপজেলায় ১১। মার্চে আক্রান্ত হন ১২ জন। নগরে ৭ ও ১৫ উপজেলায় ৫। এপ্রিলে আক্রান্ত হন ১৮ জন। নগরে ১৩ ও ১৫ উপজেলায় ১৩। মে মাসে আক্রান্ত হন ৫৩ জন। নগরে ৩২ ও ১৫ উপজেলায় ২১। কিন্তু চলতি জুনের প্রথম ১৫ দিনেই আক্রান্ত হন ৭৯ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৫৬ ও ১৫ উপজেলায় ২৩। ১৪ জুন একজন মারাও যান। চলতি বছর প্রথম পাঁচ মাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ গুণের বেশি। গত বছর প্রথম পাঁচ মাসে মহানগর ও জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৭ জন। আর এ বছর প্রথম পাঁচ মাসেই ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ১৭৪ জনের। গত বছরের জানুয়ারিতে ৯, ফেব্রুয়ারিতে ৪, মার্চে ১, এপ্রিলে ৩ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মে মাসে কেউ আক্রান্ত হননি। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, বর্ষা শুরুর সঙ্গেই ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বিষয়টি আমরা জেলা উন্নয়ন সভায় উপস্থাপন করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চসিককে অনুরোধও করেছি। আমরা ডেঙ্গুর চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে সবাইকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, দিনে হোক রাতে হোক, মশারি ছাড়া ঘুমানো যাবে না। একমাত্র মশারি ব্যবহারেই ডেঙ্গু থেকে ৯০ শতাংশ নিরাপদ থাকা যায়। বাড়ির আঙিনা অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। এডিস মশা উৎপাদন হতে পারে এমন কোনো উপকরণ যেন বাসাবাড়ির আশপাশে না থাকে।

জানা যায়, ৪ জুন চসিক ঘটা করে মশক নিধন কর্মসূচি শুরু করে। নগরের ৪১ ওয়ার্ডে একযোগে স্প্রেম্যানদের মশার ওষুধ ছিটানোর কথা। কিন্তু তাদের দেখা মেলে না। মাঝেমধ্যে দেখা গেলেও নামমাত্র ওষুধ ছিটিয়ে চলে যায়। ফলে এডিস মশা উৎপাদনের উৎসস্থান বহাল থেকে যায়।

চসিকের উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম বলেন, নগরে ৪১ ওয়ার্ডে নিয়োজিত, বিশেষসহ ২৬০ জন স্প্রেম্যান আছেন। নালায় মশার ওষুধ ছিটানো ও ধোঁয়া দেওয়ার জন্য ৩০০ ফগার মেশিন আছে। নিয়মিত ওষুধ ছিটানোর কাজ চলে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর