শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে মাছ সবজির

রাশেদ হোসাইন

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস

রাজধানীর বাজারে মাছের দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস নগরবাসীর। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

শনিরআখড়া বাজারে মাছ কিনতে আসা হাসান মাহমুদ বলেন, ‘মাছের বাজার গত সপ্তাহের চেয়ে চড়া। কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। কেন দাম বেশি তার উত্তর কারও কাছে নেই। আমাদের প্রয়োজন তাই বেশি দামেই নিতে হয়। আগে এক কেজি নেওয়ার সামর্থ্য থাকলেও এখন সেটা কমেছে। হয়তো সামনে মাছ খাওয়াও কমাতে হবে।’

একই বাজারের বিক্রেতা হানিফ মাহমুদ বলেন, ‘আসলে বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি। মাছের খাবারের দাম বাড়ার পর থেকে মাছের দামও বেড়েছে। এ ছাড়া পরিবহন খরচও এখন বাড়তি। সব মিলিয়ে পাইকারি আড়ত থেকেই আমাদের আগের চেয়ে বাড়তি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে। যার প্রভাব খুচরা বাজারগুলোতেও পড়েছে।’ গতকাল সকালে শনিরআখড়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০, চাষের কই ২৮০ থেকে ৩০০, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০, শিং (ছোট) ৪২০ থেকে ৪৫০, কাঁচকি গুঁড়া ৪০০ থেকে ৪২০, বোয়াল ৬০০ থেকে ৬৫০, ট্যাংরা ৫৫০ থেকে ৬৫০, রুই ৩২০ থেকে ৩৫০, সিলভার কার্ভ (ছোট) ২৫০ থেকে ২৮০, বড় কাতলা ৩৮০ থেকে ৪০০, চিংড়ি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আগের মতোই বেশি দামে রয়েছে সবজির বাজার। কেজি প্রতি বেগুন, করলা ৭০-৮০, কাঁকরোল, বরবটি ৭০, গাজর, শজনে, কাঁচা মরিচ ১২০, টম্যাটো, কচুর মুখি ৮০, মিষ্টিকুমড়া ৪০, পেঁপে, চালকুমড়া, ঢ্যাঁড়শ ৫০, শসা ৬০, পটোল, ধুন্দল ৬০-৭০, চিচিঙ্গা ৬০-৮০ এবং লাউ ৬০-৭০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আদা ৩০০, দেশি রসুন ১৫০-১৬০, ইন্ডিয়ান রসুন ১৬০-১৭০, দেশি পিঁয়াজ ৬০-৮০, আলু ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে; যা অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে কক মুরগি ২৩০ থেকে ২৫০, দেশি মুরগি ৬০০, গরুর মাংস ৭৮০-৮০০ এবং খাসির মাংস মানভেদে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর