শিরোনাম
সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্থানীয় পশুতেই মিটবে চাহিদা

নগরীতে বসবে ১০ কোরবানির হাট

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়েই চাহিদা মেটানো যাবে। চট্টগ্রাম নগর ও জেলার খামারগুলোতে উৎপাদন হয়েছে কোরবানির প্রয়োজনীয় সংখ্যক পশু। তবে ৫ শতাংশ পশুর ঘাটতি থাকলেও তা আশপাশের জেলা থেকে পূরণ করা হবে। এ কারণে কোরবানির পশুর কোনো ঘাটতি বা সংকট থাকবে না। এবার চট্টগ্রাম নগরে বসবে স্থায়ী অস্থায়ী মোট ১০টি হাট। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার চট্টগ্রাম জেলায় কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৩টি। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়েছে ৮ লাখ ৪২ হাজার ১৬৮টি। গবাদি পশু ৫ লাখ ২৬ হাজার ৩২৫টি, মহিষ ৭১ হাজার ৩৩৩টি, ছাগল ও ভেড়া ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪০৫টি এবং অন্যান্য ১০২টি। তবে এবার ঘাটতি থাকবে ৩৭ হাজার ৫৪৮টির।  জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়ে ৯৫ থেকে ৯৬ শতাংশ চাহিদা পূরণ করা যাবে। বাকি ৪ থেকে ৫ শতাংশ পশু চট্টগ্রামের আশপাশ এবং বগুড়া, কুষ্টিয়া, ভোলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসবে। এসব পশু দিয়ে চাহিদার বেশিও হয়ে যায়। তাই আমরা মনে করি, এবারও কোরবানির পশুর কোনো ঘাটতি বা সংকট হবে না।

তাছাড়া, বর্তমানে আমাদের খামারি খাত অনেক সমৃদ্ধ। প্রায় সবগুলো খামারেই পশু উৎপাদন হচ্ছে। চসিক সূত্রে জানা যায়, এবার চসিক নগরে স্থায়ী-অস্থায়ী ১০টি পশুর হাট বসাবে।

এর মধ্যে স্থায়ী পশুর হাটগুলো হলো- সাগরিকা পশুর বাজার, বিবিরহাট গরুর হাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার। অস্থায়ী হাটগুলো হলো- ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের কর্ণফুলী গরু বাজার (নূর নগর হাউসিং এস্টেট), ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের খেজুরতলা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালি মাঠ, একই ওয়ার্ডের পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ, মুসলিমাবাদ টিকে গ্রুপের খালি মাঠ এবং মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের পরিত্যক্ত মাঠ, পাঁচলাইশ ওয়ার্ডেল ওয়াজেদিয়া মোড় এবং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আউটার রিং রোডের সিডিএ বালুর মাঠ।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর