শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
খুলনা

হাটে পশু অনেক, দামও বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

হাটে পশু অনেক, দামও বেশি

খুলনায় কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। বিক্রেতারা বলছেন, হাটগুলোয় চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ গরু, ছাগল আসছে। তবে প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় দিন শেষে অবিক্রীত থাকছে অনেক পশু। ক্রেতারা বলছেন, এ বছর গরুর দাম অনেক বেশি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তাল মিলিয়ে চলা কঠিন। তার ওপর এত দাম দিয়ে কোরবানি করা অনেকের জন্য কঠিন হবে। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, এ বছর খুলনার নয়টি উপজেলা ও মহানগরী মিলিয়ে হাট বসেছে ২২টি। জেলায় এ বছর কোরবানিযোগ্য পশু ৯২ হাজার ৩৭৫টি। এর মধ্যে গরু ২৬ হাজার ৪১৬, ছাগল ৬৩ হাজার ৪৭৫ ও ভেড়া ২ হাজার ৪৩৮টি। জেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৯ হাজার ৮৬৭টির। গতকাল দাকোপ পৌরসভার পশুর হাটে দেখা যায়, অন্য দিনের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি গরু, ছাগল বিক্রির জন্য আনা হয়েছে। গরু ব্যবসায়ী জয়দেব মণ্ডল বলেন, ‘১০-১২টি দেশি ষাঁড় হাটে তুলেছি, আশা করি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।’ হাটে গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রচুর গরু, ছাগল উঠেছে কিন্তু দাম বেশি, যা সামর্থ্যরে অনেক বাইরে। আশপাশের হাট দেখে তারপর গরু কিনব।’ ডুমুরিয়ার খর্ণিয়া হাটে গতকাল (হাটবার) ১০০০-১২০০-এর মতো গরু উঠেছে; যা থেকে ৫০০-৬০০ গরু বিক্রি হয়। হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান জানান, ঈদের বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি। গত হাটে ব্যাপারী ও কসাই ছিল বেশি। তারা দামদর করলেও অর্ধেকের মতো গরু অবিক্রীত ছিল। চলতি হাট থেকে বেচাকেনা শুরু হতে পারে। ঈদের আগে প্রতি হাটে ৮ থেকে ১০ হাজার গরু বিক্রির জন্য আনা হয়। তিনি বলেন, সাধারণত প্রতি বৃহস্পতিবার হাট বসলেও ঈদের আগে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার তিন দিন হাট বসবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খামারিরা পশুর যত্ন নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাড়িতে ফড়িয়ারা হানা দিলেও বাড়তি দামের আশায় হাটে নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন পশুমালিকরা। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম আইয়ুব আলী বলেন, শহরতলির হাটগুলোয় এরই মধ্যে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। খামারিরা হাটে পশু তুলতে শুরু করেছেন। দু-এক দিনের মধ্যে বাজার জমে উঠবে। সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় নগরীর সবচেয়ে বড় জোড়াগেট পশুর হাট গতকাল শুরু হয়েছে। এটি বিরতিহীনভাবে ঈদুল আজহার দিন সকাল পর্যন্ত চলবে। পশুর হাটে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার, ক্রেতা-বিক্রেতাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা, জাল টাকা শনাক্তকরণের ব্যবস্থা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালুসহ পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি করপোরেশন।

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর