শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

শুধু হাঁড়িভাঙা আম পেড়ে ১৫ হাজার শ্রমিকের জীবিকা

নজরুল মৃধা, রংপুর

শুধু হাঁড়িভাঙা আম পেড়ে ১৫ হাজার শ্রমিকের জীবিকা

এক মাস শুধু গাছ থেকে হাঁড়িভাঙা আম পেড়ে ১৫ হাজারের বেশি শ্রমিকের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করবে। এসব শ্রমিক এক মাস গাছ থেকে হাঁড়িভাঙা আম পেড়ে আয় করবেন ২০ কোটি টাকার ওপর। হাঁড়িভাঙা যেমন রংপুরের আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়তা করছে সেই সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জের বেশ কটি বাগান ঘুরে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ ও রংপুর সদরের কিছু অংশ মিলে ৩ হাজারের ওপর আমবাগান রয়েছে। এসব বাগান কারও নিজের আবার কেউ পত্তন নিয়ে আমচাষ করছেন। প্রতিটি বাগানের গাছ থেকে আম পাড়া এবং আম পাহারা দেওয়ার জন্য গড়ে ৫ থেকে ৭ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। এসব শ্রমিকের মাসিক বেতন ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে তিন বেলা খাবার দিতে হয় বাগান মালিককে। আম পাড়ার মৌসুম শুরু হলে এসব শ্রমিক গাছ থেকে আম পেড়ে ক্যারেট অথবা ঝুড়িতে ভর্তি করেন। এরপরে বাগান মালিকরা হাটে নিয়ে সেই আম বিক্রি করেন। প্রতিটি বাগানে গড়ে পাঁচজন করে শ্রমিক হলে ৩ হাজার বাগানে ১৫ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করছেন।

প্রতি মাসে গড়ে ১২ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক ধরা হলে এসব শ্রমিক এক মাসে ২০ কোটি টাকার বেশি আয় করবেন। এ সময় খেতে-খামারে কাজ না থাকায় গাছের আম পেড়ে স্থানীয় কৃষক ও শ্রমিকরা বাড়তি আয় করছেন।

খোড়াগাছ পশ্চিমপাড়ার আম পাড়া শ্রমিক আবু সাইদ, মোসলেম উদ্দিনসহ কয়েকজন জানালেন, এই সময় খেতে খামারে কাজ থাকে না। বাড়িতে বসে অলস সময় কাটাতে হয়। তাই আমের মৌসুমে এক-দেড় মাস বাগান পাহারা ও গাছ থেকে ফল পেড়ে মাসিক ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা পাচ্ছি। তারা বলেন, তাদের মতো ১৫ হাজারের বেশি শ্রমিক আম পাড়ার কাজ করছেন।

বৈলডোপ গ্রামের আমবাগানের মালিক নজরুল ইসলাম ও মানজারুল ইসলাম বলেন, তাদের নিজের চারটি বাগান রয়েছে। এ ছাড়া আরও চারটি বাগান পত্তন নিয়েছেন। তারা বলেন, এই অঞ্চলে ৩ হাজারে বেশি আমবাগান রয়েছে। একেকটি বাগানে দেড় থেকে দুই শ গাছ রয়েছে। কোনো কোনো বাগানে আরও বেশি গাছ আছে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর রংপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ১ হাজার ৯০০ হেক্টরের বেশি জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ হাজার মেট্রিক টনের ওপর। মৌসুমের শুরুতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং শেষ দিকে প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙা আম ১৫০ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর