শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যয় বাড়ছে ১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা

অর্থবছরের শেষ পার্চেজ বৈঠকে রেকর্ডসংখ্যক দরপ্রস্তাব অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থবছরের শেষ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা (পার্চেজ) ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা (ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স) কমিটির বৈঠকে রেকর্ডসংখ্যক দরপ্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক দুটিতে ৩৭টি দরপ্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৭ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। সভাশেষে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান। তিনি জানান, অনুমোদিত প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের ১০টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৯টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের চারটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দুটি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দুটি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের দুটি, সেতু বিভাগের একটি এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও বৈদেশিক অর্থায়ন ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল সেতু প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা বাড়ছে। মূল সেতু ও পিয়ারের ডিজাইন পরিবর্তন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও সময়সীমা বৃদ্ধির কারণে এ ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সেতু বিভাগ।  মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে যশোরের মজুমদার ব্র্যান্ড অয়েল লিমিটেড থেকে ২৫ লাখ লিটার, ঢাকার মজুমদার প্রোডাক্টস থেকে ২৫ লাখ লিটারসহ মোট ৫০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান্ড তেল ৮০ কোটি টাকায় সরাসরি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিএডিসি তিউনিশিয়ার জিসিটি থেকে দ্বিতীয় লটে লটে ২৫ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন টিএসপি সার ৯১ কোটি টাকায় আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। চতুর্থ লটে মরক্কো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার ১১০ কোটি টাকায় আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।

 একই সঙ্গে চতুর্থ লটে মরক্কো থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার ২০৬ কোটি টাকায় আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। পেট্রোবাংলা সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে দুই দফায় এলএনজি কিনবে। প্রথম দফায় ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৫৫৭ কোটি টাকায় আমদানি হয়েছে। একই প্রতিষ্ঠান থেকে পেট্রোবাংলা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৫৯৫ কোটি টাকায় কেনার প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর